শিরোপাজয়ের পর আবেগাক্রান্ত কোচ স্ক্যালোনি/টুইটার

দীর্ঘ খরা কাটানো এক শিরোপা। কোপা আমেরিকা শিরোপা। এ কাজটা করতে পারেননি মার্সেলো বিয়েলসা, হোসে প্যাকারম্যান, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, আলেহান্দ্রো সাবেয়া কিংবা টাটা মার্টিনোদের মতো কোচ। সে কাজটাই প্রায় আনকোরা এক দল নিয়ে করে দেখালেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। এরপরও সে কৃতিত্ব নিতে নারাজ তিনি।

করোনাকাল পেরিয়ে কোপা আমেরিকা মাঠে গড়িয়েছে বটে, কিন্তু এখানে আছে কিছু বদলে যাওয়া রীতি। দর্শক নেই, নিজেদের কথা তো বটেই, সাইডলাইন থেকে বলে লাথির শব্দটা কানে আসছে পরিষ্কার। সেই পরিস্থিতি, সঙ্গে ব্রাজিলে মাঠের দুরাবস্থা মিলিয়ে খেলা কঠিন ছিল। কোচ স্ক্যালোনি বড় করে দেখলেন সেটাকেই। আর তাই জয়ের স্বাদটা তার কাছে বেড়েছে বহুগুণে। বললেন, ‘এটা একটা ভিন্ন কোপা আমেরিকাই ছিল। যে কোনো দলের বিপক্ষে এখানে ম্যাচ জেতাই কঠিন ছিল। কিন্তু দিনশেষে আমরা সফল হয়েছি। ’

নতুন দল। তরুণদের নিয়ে কাজ করেছেন স্ক্যালোনি। পাননি স্বর্ণসময়ের কাউকেই। সেই সোনালী প্রজন্ম যা পারেনি তাই করে দেখিয়েছে স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনা। তবে স্ক্যালোনি অবশ্য এই জয়ের কৃতিত্ব নিলেন সামান্যই। বললেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও একই কাজটা করতেন। অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন এখানে, বাকিরা সবাই তরুণ। আমার চেষ্টাটা ছিল সবাই যেন তাদের সেরাটা ঢেলে দেয় ম্যাচে, এই তো।’ 

এই কোপা আমেরিকার পর নিজের তো বটেই, খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারও বদলে যাবে, মনে হচ্ছে স্ক্যালোনির। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি কোচ হয়েছিলাম, তখন থেকেই আমার জানা ছিল এটাই আমার ধ্যানজ্ঞান। এটা আমার দেশের জন্য, যারা এত বছরের কষ্ট স্বীকার করেছে, এখনো সমর্থন দিচ্ছে তাদের জন্য অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা। এটা আমার চেয়েও তাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের আগে আমি ছেলেদের বলেছিলাম এই ম্যাচটার ফলাফল আমার ক্যারিয়ারে হয়তো বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য সেটা নিশ্চিতভাবেই হবে। তবে এখন মনে হচ্ছে এটা আমার ক্যারিয়ারে একটা কোপা পূর্ব ও পরবর্তী একটা ঘটনা হয়ে থাকবে।’