ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের সাবেক অনেক ক্রীড়াবিদ থাকেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক হকি খেলোয়াড় মিজান, সাবেক জাতীয় ফুটবলার রেহান ও ওয়াহেদ আহমেদ। ৫৫ বছর পর ফাইনালে যাওয়া ইংল্যান্ডকে সমর্থন করবেন তারা। 

মিজান ও ওয়াহেদের ইচ্ছে ছিল ওয়েম্বলিতে উপস্থিত থেকে আজ (রোববার) ইতালি-ইংল্যান্ডের ফাইনাল খেলা দেখার। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামের পরিবর্তে নিজ নিজ এলাকাতেই খেলা দেখবেন তারা। বেশ কয়েক বছর আগে প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন সাবেক হকি খেলোয়াড় মিজান৷ তিনি উৎসবের জন্য প্রস্তুত, ‘পুরো ইংল্যান্ড উৎসবে সেজেছে। আমরাও এতে যোগ দেব। সবাই একসঙ্গে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করব।’ 

মিজান ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম থেকে ২০০ মাইল দূরে থাকেন। সাবেক জাতীয় ফুটবলার ওয়াহেদ আহমদ লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রেই থাকেন। ওয়েম্বলির কাছাকাছি থাকলেও স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারছেন না, ‘টিকিট গত বছর অনেকেই কেটেছে। এরপরও চেষ্টা করেছি টিকিট নিয়ে মাঠে যাওয়ার। টিকিট না পাওয়ায় আমাদের পরিবার ও এলাকার ৪০-৫০ জন একসঙ্গে বড় পর্দায় খেলা দেখব।’ 

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে হয়েছিল। ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কয়েকটি ম্যাচ মাঠে গিয়ে দেখেছিলেন ওয়াহেদ, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ লন্ডনের ওভাল ছাড়াও অন্য শহরে গিয়েও দেখেছি। ইউরোটা দেখার ইচ্ছে ছিল।’ আশি-নব্বই দশকের তারকা ফুটবলার রেহান লন্ডনেই থাকেন। সাবেক জাতীয় তারকা আর তেমন কেউ না থাকলেও ঘরোয়া ফুটবল হকি খেলা অনেক সাবেক ক্রীড়াবিদই আছেন ইংল্যান্ডে। অধিকাংশই ব্রিটিশ নাগরিক এখন। তাই তারাও বলছেন ‘ইটস কামিং হোম।’

এজেড/এটি/টিআইএস