বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে সাত গোলের ম্যাচে জয় পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সাইফ ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আরামবাগকে। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে সমতায় থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ জমে উঠে ম্যাচ। 

সাইফ স্পোর্টিং ও আরামবাগ দুই দলেই করোনার থাবা। দু’দলেরই চারজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। তাই সেরা একাদশে পরিবর্তন আনতে হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ও আরামবাগকে।

ম্যাচের শুরুতেই ভালো সুযোগ পেয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস থেকে চলতি বলে পা ছোয়ালেও  লক্ষ্যভেদ করতে পারেন নি মারাজ হোসেন। এরপর আবারও গোলের সুযোগ এসেছিল সাইফের সামনে। ২১ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আরমবাগের উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার দিলশদ নাজিরভ। জাহিদ হোসেনের লং বলে সাইফের গোলকিপারকে একদম একা পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে শটটা তিনি নিলেন তো গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। 

২৯ মিনিটে লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে দারুণ হেডে আরমবাগের জালে বল জড়ান সাইফের নাইজেরিয়ান ফুটবলার এমানুয়েল। ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় আরমবাগ। কর্ণার থেকে আসা বল সাইফের সবুজ হোসেনের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় আরামবাগ। স্পট কিক থেকে গোল করেন উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড ইসলোমজন। ১-১ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। 

ম্যাচের সব উত্তেজনা জমা ছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। বিরতি থেকে ফিরে গোলের চেষ্টা চালাতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ৫০ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। ইয়াসিন আরাফাতের হেড চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৭০ মিনিটে আবারও সুযোগ হাতছাড়া করেন ইয়াসিন আরাফাত। জামাল ভুইয়া দারুণ বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দৌড়ে সেই বলের নাগাল পান নি ইয়াসিন। 

গোলের চেষ্টায় সাইফ সফল হয় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন মারাজ হোসেন। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস মিস করেন আরামবাগের ফুটবলার। সুযোগ পেয়ে যান মারাজ। দারুণভাবে শরীরটাকে বাকিয়ে শূন্যে লাফিয়ে শট নেন মারাজ। ৭৬ মিনিটে  আবারও গোল করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দারুণভাবে বলের দখল নিয়ে সেটা উঠিয়ে দেন মারাজ হোসেন। একদম ফাকা জায়গা ছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। হেডে আরামবাগের জালে বল জড়ান ফাহিম। 

তবে ৭৮ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় আরমবাগ। সাইফের গোলকিপার শান্ত কুমার ডি বক্সের ভেতর ফেলে দেন আরমবাগের সাইরিদ্দিনকে। ম্যাচে দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় আরামবাগ। স্পট কিক থেকে গোল করেন সাইরিদ্দিন। 

পিছিয়ে থাকার পর ৮৪ মিনিট ম্যাচে আবার সমতা আনে আরামবাগ। রবিনের বাড়িয়ে দেয়া বলে গোল করেন আরাফাত মিয়া।  তবে ৮৭ মিনিটে আবার লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং। ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন সাইফের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। আর এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।  ৮৯ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয় আরামবাগের। ইসলোমজনের শট পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়। আবার ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হয় আরমবাগের। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং। এই জয়ের ফলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

এজেড/এটি