কিংসের শিরোপায় ফিরল তিন দশক আগের স্মৃতি
বাংলাদেশের ফুটবলে আগের সেই দর্শক ও জনপ্রিয়তা নেই। এরপরও গত কয়েক বছরে লিগ শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার দিন মোটামুটি কয়েক’শ দর্শক হয়েছে। আবাহনীর শিরোপার দিন অবশ্য সেই দর্শকসংখ্যা কয়েক হাজারও ছাড়িয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। আজ (সোমবার) বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হলো দর্শকশূন্য ম্যাচে।
ঘরোয়া ফুটবলে এ রকম দর্শকশূন্য ম্যাচে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার ঘটনা আর আছে একটিই। ১৯৮৭ সালে ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডানের লিগ শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছে একদম শূন্য স্টেডিয়ামেই। আজ ও সেদিনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিজ্ঞাপন
আজ দর্শকশূন্য হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে। এপ্রিল মাস থেকে বাফুফে লিগ পরিচালনা করে আসছে খালি গ্যালারিতে। আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও দর্শক ছিল না স্টেডিয়ামে। ফলে বসুন্ধরা কিংসকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শিরোপা উৎসব করতে হলো।
১৯৮৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডানের লিগ শিরোপা নির্ধারণী প্লে অফ ম্যাচটি অমীমাংসিত থাকে। হাজার হাজার দর্শক বেশ উত্তেজিত ছিল। দুই দলের খেলোয়াড়রা নিজেরা যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। এজন্য তৎকালীন ফুটবল ফেডারেশন আবাহনী ও মোহামেডানের অধিনায়ককে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি মাস খানেক পর আর্মি স্টেডিয়ামে জনশূন্য গ্যালারিতে খেলা আয়োজন করে। সেই ম্যাচে মোহামেডান-আবাহনীকে হারিয়ে লিগ শিরোপা জেতে।
বিজ্ঞাপন
৩১ বছর পর ঢাকার ফুটবলে দর্শকশূন্য শিরোপা উৎসব ফিরে এলো। তবে একদিক থেকে কিংসের শিরোপা উৎসব ব্যতিক্রম। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলের বড় কোনো প্রতিযোগিতার শিরোপা উৎসব দর্শকশূন্য হয়নি কখনো। আগের ঘটনাটি আর্মি স্টেডিয়ামে।
এজেড/এটি/এমএইচ