ডুরান্ড কাপ
যাচ্ছে না মোহামেডান, একই পথে শেখ জামাল
ভারতের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছিল বাংলাদেশের দুই ক্লাব ঢাকা মোহামেডান ও শেখ জামাল। ঢাকা মোহামেডান আজ বুধবার ডুরান্ড কাপ কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তাদের পক্ষে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। শেখ জামাল ডুরান্ড কাপের কমিটিকে চিঠি দেয়নি এখনো, তবে তারাও অংশগ্রহণ না করার দিকে রয়েছে।
ডুরান্ড কাপে খেলতে গেলে প্রত্যেক ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া থাকতে হবে। কিন্তু দুই ক্লাবের ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের দুই ডেজ টিকা নেওয়া নেই । ফলে ডুরান্ড কাপে যাওয়া দুষ্কর।
বিজ্ঞাপন
মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক ও ফুটবল কমিটির সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেন, ‘মোহামেডান ডুরান্ড কাপে খেলতে যাবে না। লিগ প্রায় শেষ দিকে। ফুটবলারদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি নবানয়ন করতে হবে। তাছাড়া দুটি করে টিকা নেয়া নেই কারোরই। ফলে আমাদেরও যাওয়া হচ্ছে না। আমরা আজ তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’
ভারতের সেনাবাহিনীর আয়োজনে ডুরান্ড কাপে গত এক দশকে বাংলাদেশের কোনো দল অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালে আইএফএ শিল্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে রানার্সআপ হয়েছিল শেখ জামাল। যদিও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে কলকাতা মোহামেডানের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরেছিল তারা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে সমতা। তাই কলকাতায় শেখ জামালের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। আইএফএ শিল্ডের পর ডুরান্ড কাপেও ভালো কিছু করার সুযোগ ছিল।
বিজ্ঞাপন
শেখ জামালের ফুটবল কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার আবদুল গাফফার বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে ডুরান্ড কাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে না খেলার ব্যাপারেই মতামত এসেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব শীঘ্রই। কলকাতায় আমাদের ক্লাবের বিশেষ সুনাম রয়েছে। আমরা আরো প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের আমন্ত্রিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করব সামনে।’
ফুটবল ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ৭০০ ভ্যাকসিন পেয়েছিল ফুটবলাঙ্গনের জন্য। ফুটবলারদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। ফলে অনেক ফুটবলার এখনো প্রথম ডোজের অপেক্ষায়।
৩ আগষ্ট ভারতের ডুরান্ড কাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পায় ঢাকা মোহামেডান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এই টুর্নামেন্টের ১৩০তম আসর বসবে সেপ্টেম্বরে। কলকাতার বিশ্ব যুব ভারতী ও কল্যাণী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপ শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর। ১৬ দলের টুর্নামেন্টে চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল খেলবে তিনটি করে ম্যাচ। প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ অক্টোবর।
এজেড/এটি/টিআইএস