মালে যাচ্ছেন কিংসলে, তবে মেলেনি খেলার নিশ্চয়তা
শুক্রবার ভোর চারটায় বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে এএফসি কাপ খেলতে মালেগামী বিমানে উঠবেন নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হওয়া ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে। দলের সঙ্গে রওনা হলেও খেলার অনুমতির ব্যাপারে এখনো কিছু ফিফা এএফসির অনুমোদনের ব্যাপার আছে। ১৭ আগস্ট ম্যাচের আগের দিন ফিফা থেকে স্বীকৃতি পেলে এএফসি কিংসলেকে টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দেবে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই ফিফা থেকে অনুমতিপত্র দরকার।
চলতি বছর মার্চের দিকে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। করোনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অফিস বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগের শুরুতে খেলতে পারেননি। জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পর লিগে খেলা শুরু করছেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পান কিংসলে। পাসপোর্ট পাওয়ার পরই মূলত তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ফিফা ও এএফসিতে স্বীকৃতির জন্য চিঠি চালাচালি করছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে চিঠি চালাচালি করলেও এখনো বিষয়টি শেষ হয়নি।
বাফুফে ও কিংসের কাছে বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি চেয়েছে ফিফা। পাসপোর্টে কিংসলের বাংলাদেশের বসবাসকাল ও গমনাগমনের তথ্য পেলেও ফিফার চাহিদা ইমিগ্রেশন বিভাগের চিঠি। ইমিগ্রেশনের চিঠি পেতে ইতোমধ্যে কাজ করছে কিংস ও বাফুফে।
বিজ্ঞাপন
ইমিগ্রেশনের চিঠি পাওয়ার পর বাফুফেকে সাক্ষ্য দিতে হবে কিংসলের দেওয়া তথ্য সঠিক ও কোনো ভুল থাকলে দায়ভার বাফুফের। কিংসলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলার অনুমতি পেলে এই অনুমতি জাতীয় দলে খেলার জন্যও প্রযোজ্য হবে।
কিংসলে কিছুটা অনিশ্চয়তা নিয়ে রওনা হলেও দুই ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া ও তৌহিদুল আলম সবুজের সঙ্গে ডিফেন্ডার রিমন হোসেনকে দেশে থাকতে হচ্ছে। রিমনের ইনজুরি, সবুজ করোনা পজিটিভ ও মতিনের পাসপোর্ট সমস্যা।
এজেড/এমএইচ/এটি