আগামী মাসেই জমজমাট লড়াই। মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই। অথচ সেখানেই কি না খেলা হবে না এলিসন বেকারের। দেশের হয়ে খেলতে চাইলেও ক্লাব লিভারপুল ও ইংল্যান্ড সরকার অনঢ় রয়েছে তাকেসহ ‘লাল তালিকাভূক্ত’ দেশের ফুটবলারদের না ছাড়দে। গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো তাই এবার হয়তো আর দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামা হবে না প্রিমিয়ার লিগে খেলা অনেক ফুটবলারের।

ব্রাজিল দলের গোলরক্ষক এলিসনের মুখে দেশের হয়ে খেলার আকুতি স্পষ্ট। সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানেই বলেছেন, দেশের হয়ে খেলতে না পেরে খারাপ লাগছে তার। 

লিভারপুল গোলরক্ষক বলেন, ‘সত্যি বলতে আমার খুবই খারাপ লাগছে। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই। আমি লিভারপুলের হয়েও খেলতে চাই। এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাই না যার ফলে আমাকে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু আমি যতদূর জানি এমুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের নেই।’

একই আক্ষেপে পুড়তে চলেছেন আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দুর্দান্ত মার্টিনেজ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে পারবেন না দেশের হয়ে। 

ফিফা চাপ দিলেও নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। এমন মুহূর্তে ইংলিশ ফুটবল লিগের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে তারা। ইএফএল অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইংলিশ ক্লাবগুলো সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের বিপদজনক চিহ্নিত করা দেশগুলোতে তারা খেলোয়াড় পাঠাবে না। ইএফএল তাদের ক্লাবগুলোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে এবং আমাদের প্রিমিয়ার লিগের সহকর্মীদের নেওয়া সিদ্ধান্তে আমরা তাদের পাশে আছি।’

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দলের খেলা থাকলে কোন ক্লাব তাদের খেলোয়াড় আটকে রাখতে পারবে না। জাতীয় দলের খেলাগুলো যদি সরকারের বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করা কোন দেশে হয় তবুও ছাড়তে হবে খেলোয়াড়দের। যদিও ইংল্যান্ড সরকারের সেটি মানার সম্ভাবনা কম। 

এআইএ/এমএইচ