জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। বাংলাদেশের ফুটবল দলে এই পদটি একেক সময় একেক জন এবং মাঝে মধ্যে এই পদে থাকেও না কেউ। চলমান কিরগিজস্তান সফরে বাংলাদেশ দল গেলো ম্যানেজার ছাড়াই। তবে এবার দলের সঙ্গে পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইলিয়াস হোসেন। 

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি হওয়ার পরপরই পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের পর ইতোমধ্যে দশ মাস পেরিয়ে গেলেও পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগ দিতে পারেনি ফেডারেশন। 

নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ম্যানেজার ছিলেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত কাউকে ম্যানেজার না করার একটা আলোচনা ছিল সালাউদ্দিনের আগের কমিটির। আমের খান নেপালের বিপক্ষে হোম সিরিজ ও কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এক ম্যাচে ম্যানেজার ছিলেন। 

তিন মাস পর মার্চে প্রীতি ম্যাচে ম্যানেজার পদে পরিবর্তন আসে। এবার নির্বাহী কমিটির বাইরে থেকে সাবেক বাফুফে সদস্য এবং সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল হোসেনকে ম্যানেজার করা হয়। ইকবাল জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়েও ম্যানেজার ছিলেন। 

সম্প্রতি বাফুফে নির্বাহী সভায় জাতীয় দলে পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগের কথা হয়। সেই সভা দেড় মাস আগে হলেও এখনো পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগে কোনো অগ্রগতি নেই। বাফুফে কোনো বিজ্ঞপ্তিও দেয়নি পেশাদার ফুটবল ম্যানেজার নিয়োগের জন্য। সাবেক অনেক শিক্ষিত ফুটবলার রয়েছেন যারা জাতীয় দলে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার যোগ্য।

জাতীয় দল বিদেশ সফরের সময় পর্যবেক্ষক পদটি সামনে আসে। জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পর্যবেক্ষক ছিলেন বাফুফে নির্বাচনে মোহামেডানের ভোটার ও জাতীয় দল কমিটির সদস্য মনজুরুল আলম মনজু। তিনি অসুস্থতার জন্য যেতে পারেননি কাতার। এবার বাংলাদেশ দলে ম্যানেজার না থাকলেও পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ইলিয়াস হোসেন। 

এজেড/এটি