দুই বছর পর বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছে। ২০১৯ সালের পর আবার সাবিনারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। ৯ ও ১২ সেপ্টেম্বর নেপাল জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলবেন সাবিনারা। মহিলা এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে এই দু’টি ম্যাচ খেলবেন তারা।
 
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও ফ্লাইট সংকট প্রকট। সাবিনারা ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে চার্টার্ড বিমানে কাঠমান্ডু পৌঁছাবেন। নেপালে দুইটি ম্যাচ খেলে ১৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হবেন। নেপাল থেকে তুরস্ক হয়ে উজবেকিস্তান পৌঁছাবে বাংলাদেশ দল। 

তুরস্কে সাবিনাদের যাত্রা বিরতি ১০ ঘণ্টার বেশি। ট্রানজিট ঘণ্টা নিয়ে বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘কাঠমান্ডু থেকে উজবেকিস্তান যাওয়ার রুটে সর্বনিম্ন ট্রানজিটই আমরা গ্রহণ করেছি। বিশ ঘন্টারও বেশি ট্রানজিট রয়েছে কিছু রুটে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দল অনেক দিন পর চার্টার্ড বিমানে যাচ্ছে। চার্টার্ড বিমান যাত্রা সম্পর্কে বাফুফে মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মহিলা ফুটবলকে গুরুত্ব দিচ্ছি। করোনার মধ্যে ম্যাচ খেলা এবং ফ্লাইট শিডিউল মেলানো খুবই কঠিন। নেপালের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজন করেছি। স্বাভাবিক ফ্লাইট না থাকায় চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছে দল। ওয়ান ওয়েতে স্বাভাবিকের চেয়ে আমাদের প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি খরচ হচ্ছে।’ 

বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দুটি প্রীতি ম্যাচকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন, ‘এই দুই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা ভুল ত্রুটিগুলো শোধরাতে পারব।’ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে হলে বাংলাদেশকে জর্ডান, ইরানের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। কষ্টসাধ্য কাজ হলেও কোচ ছোটনের মন্তব্য, ‘আমরা ভালো ও পজিটিভ ফুটবল খেলব। তারা আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। টেকনিক্যালি, টেকটিক্যালি আমরা খুব পিছিয়ে থাকব না।’ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে গত দুই বছর লিগ হয়েছে। এই দুই বছরের লিগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে খুব বেশি সহায়ক হবে বলে মনে করেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ‘সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে আমাদের ঘরোয়া লিগ ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে পার্থক্য অনেক। গত দুই বছর আমরা লিগ খেললেও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচ হয়েছে তিন-চারটি। এশিয়ান কাপের আগে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।’

২০১৯ সালে সর্বশেষ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপে খেলা দল থেকে এই দলে পরিবর্তন মাত্র দুটি। গোলরক্ষক সাথী বিশ্বাস ও ডিফেন্ডার নাসরিন আক্তার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।

সাবিনাদের ম্যানেজার হিসেবে থাকছেন আমিরুল ইসলাম বাবু এবং দলনেতা বাফুফে নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী। এএফসি অ-১৬, সাফ গণ্ডিতে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সাফল্য থাকলেও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে কতটুকু ভালো খেলেন সাবিনারা সেটাই দেখার বিষয়। 

এজেড/এমএইচ