শেখ রাসেল গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়ারী থানা দল। আজ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে তেজগাঁও থানা দলকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতেন ওয়ারী থানা দলের খেলোয়াড়রা। 

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে এবং সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা এবং সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন। ফাইনাল শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

ওয়ারী এবং তেজগাঁও দলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে হাজারো দর্শক কমলাপুর স্টেডিয়ামে জড়ো হন। শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলে খেলা। ম্যাচের ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় তেজগাঁও। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল আলতো টোকায় ওয়ারীর জালে ঢুকে দেন তাজোয়ার বিন কাসেম। ৭০ মিনিটের (৩৫+৩৫ মিনিট) এ খেলায় প্রথমার্ধে ১-০ তে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে তেজগাঁও। 

প্রথমার্ধে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেও গোল দিতে ব্যর্থ ওয়ারীর আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে শুরুতেই গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওয়ারী। ৪৭ মিনিটে দলটির হয়ে গোল করেন সুজন। এরপর দু’দলই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়াতে ১-১ সমতায় মাঠ ছাড়ে তারা। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে (১০+১০মিনিট)। মীমাংসা না হওয়ায় এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে তেজগাঁও থানা দলকে ৪-২ (১-১) গোলে হারিয়ে বিজয়োল্লাসে মাঠ ছাড়েন ওয়ারীর খেলোয়াড়রা। 

ঢাকা মহানগরীর ৩২টি থানা দল নিয়ে এবারের শেখ রাসেল গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল ওয়ারীকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পাশাপাশি ২ লাখ টাকার প্রাইজমানি এবং রানার্স আপ দলকে দেয়া ট্রফিসহ ১ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার।

ম্যাচ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শহীদ শেখ রাসেল যে আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাননি তার প্রমাণ এই টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে শত শত মানুষের ঢল এখানে নেমেছে। শেখ রাসেল মরে যায়নি; আমাদের হৃদয়ে চিরজাগরুক থাকবে। এই টুর্নামেন্ট যারা আয়োজন করেছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি ধন্যবাদ জানাই শেখ রাসেল পরিষদের উপদেষ্টা এবং টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক তরফদার মো. রুহুল আমিনকে।’ 

অনুষ্ঠানে তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা বছরব্যাপী এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে যাব। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেশের তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করছি। এবার ঢাকা মহানগরীর ৩২টি থানা দলকে নিয়ে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ হয়েছে। সামনে আমরা অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬ সব ধরনের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ছোট্ট শিশু-কিশোরদের খেলার মাঝে ফিরিয়ে এনেছি। আজকের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।’ 

এজেড/এনইউ