জামাল ভুঁইয়া/ ফাইল ছবি

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুক্ষণ পর মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতেন জামালরা। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ এখন শুধুই দর্শক। এবার পাঁচ জাতির এই সাফে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ও মালদ্বীপ। 

সফরকারী দলের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই এখনো মালদ্বীপে রয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিদায় ১০ তারিখ হয়ে যাওয়ায় তারা ইতোমধ্যে কলম্বো পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন অনেক চেষ্টা করেও জামালদের ১৫ অক্টোবর ফেরাতে পারেননি। ফলে আজ ১৬ অক্টোবর ফাইনালের দিন মালেতেই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। 

মালের জেন হোটেল থেকে স্টেডিয়াম দূরত্ব খুব কম। এরপরও বাংলাদেশ ফুটবল দলের সদস্যরা ফাইনাল স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে আগ্রহী নন তেমনটা। ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বলেন, ‘আমি ফাইনাল দেখতে যাচ্ছি না। খেলোয়াড়রাও স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখার ব্যাপারে আগ্রহী নয়।’ 

আগামীকাল ভোরে বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট। টুর্নামেন্ট চলাকালে একটা কড়া বিধি নিষেধের মধ্যে থাকলেও এখন তা কিছুটা শিথিল। এই সুযোগে অনেক ফুটবলার বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরছেন কেউ আবার পরিবার বন্ধুবান্ধবদের জন্য কেনাকাটা করছেন। 

মালদ্বীপ দল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়ার পর হোটেল ছেড়েছে। তবে আজকের ফাইনালের মালদ্বীপের দুই কিংবদন্তী আলী আশফাক ও আকরামকে পুরস্কার প্রদান মঞ্চে রাখার পরিকল্পনা মালদ্বীপ ফুটবল এসোসিয়েশনের। মালদ্বীপ এসোসিয়েশন চেষ্টা করেছিল স্প্যানিশ দুই তারকাকে আনার জন্য। করোনা জটিলতা ও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত আনতে পারেনি। 

এজেড/এনইউ