প্রতি কোচেরই নিজস্ব কৌশল ও পরিকল্পনা থাকে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ম্যারিও ল্যামোস তার কৌশলকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘অস্কারের (বসুন্ধরা কোচ) সঙ্গে আমার খেলার ধরণ অনেকটা একই থাকবে। এর সঙ্গে আলাদা কিছু যোগ করব। যেটি ম্যারিও স্পাইস।’ স্পাইস সাধারণত মশলাযুক্ত খাবারের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। কৌশলে স্পাইস ব্যবহারের মাধ্যমে ম্যারিও নতুন কিছু যোগ করাকেই বুঝিয়েছেন। 

জাতীয় দলের অনুশীলন সেশনে রয়েছে খেলোয়াড় সংকট। এখানে তার অধীনে অনুশীলন করছেন ১৬ জন, আর উজবেকিস্তানে রয়েছেন ৬ জন। শ্রীলঙ্কায় ৮ নভেম্বর সিশেলসের বিরুদ্ধে খেলার মাত্র দুদিন আগে সকল খেলোয়াড়কে একসঙ্গে পাবেন ল্যামোস। এতে খুব বেশি সমস্যা দেখছেন না তিনি, ‘এক সঙ্গে সকল খেলোয়াড়কে পেলে ভালো হতো। প্রায় সব খেলোয়াড়ই আমার পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ। পরিকল্পনায় সমস্যা হবে না।’ 

জাতীয় দলের ফুটবলাররা সাফ খেলে এসেছেন। সাফ খেলে এসেই অনেকে আবার উজবেকিস্তানের গেছেন। যারা উজবেকিস্তান যাননি তারা ল্যামোসের অনুশীলনে রয়েছেন। খেলার মধ্যে থাকলেও ল্যামোস ফিটনেস নিয়ে বিশেষ কাজ করছেন। জাতীয় দলের দুজন খেলোয়াড় পারিবারিক কারণে যোগ দেননি এখনো। অনেকে এসেছেন দেরিতে। জাতীয় দলের প্রসঙ্গে সামগ্রিকভাবে তার দৃষ্টিভঙ্গি, ‘একজন ফুটবলারের সবচেয়ে বড় সম্মান দেশের জার্সি পরে খেলা।’

উজবেকিস্তান থেকে গোলরক্ষক কোচ আতিকুর রহমান শ্রীলঙ্কা যাবেন। দেশে ল্যামোসের সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে কাজ করছেন সাবেক জাতীয় দলের গোলরক্ষক ও বাফুফে কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। গত কয়েক দিন অনুশীলন শেষে তার মন্তব্য, ‘জিকো, সোহেল ও রানা তিনজনই পরীক্ষিত গোলরক্ষক। নব্বই মিনিটই ম্যাচে সমান মনোযোগ রাখতে হবে এটাতেই আমি মূলত জোর দিয়েছি।’

এজেড/টিআইএস