মেসিদের নিয়তি নির্ধারণ ৭ মার্চ
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেও ক্লাব ছাড়ার সময় বড়সড় এক বিপদেই ফেলে গেছেন। ক্রীড়া প্রকল্পের অভাবে দলের মাঠের পারফর্ম্যান্স তো পড়ে গেছেই, ক্লাবও পড়েছে বড় অঙ্কের দেনার দায়ে। এসব দায়িত্ব বর্তাবে নতুন সভাপতির কাঁধে। সে সভাপতি নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে পিছিয়ে গেছে সেটা। নতুন সূচি অনুসারে আগামী ৭ মার্চ নির্বাচনে নির্ধারিত হবে বার্সার নতুন সভাপতি হবেন কে।
চলতি সপ্তাহে সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্পেনে করোনা মহামারির নতুন করে বিস্তারের কারণে স্থগিত হয়েছে সেটা। নতুন করে যেন আবার না পেছানো হয় সেজন্যে ডাকযোগে ভোটের সুযোগ চেয়েছে বার্সা কর্তৃপক্ষ, এমন কিছুর সুযোগ বার্সার বিগত কোনো নির্বাচনেই দেয়া হয়নি ক্লাবের সদস্যদের।
বিজ্ঞাপন
গেল অক্টোবরে জর্দি ফারের দায়ের করা অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ে বার্তোমেও বিদায় নিয়েছিলেন। তার উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়ে এখন আছেন হোয়ান লাপোর্তা, ভিক্টর ফন্ট ও টনি ফ্রেইক্সা। ক্লাবের এক লাখ দশ হাজার ‘সোশিও’ ভোট দিতে পারবেন এই নির্বাচনে। ডাকযোগে ভোটের পাশাপাশি সোশিওদের সামনে সুযোগ থাকবে সশরীরে ভোট দেয়ার। কাতালোনিয়া আর অ্যান্ডোরায় সব মিলিয়ে ছয়টি পোলিং স্টেশন বসানোর কথা ভাবছে বার্সা কর্তৃপক্ষ।
লাপোর্তা, ফন্ট কিংবা ফ্রেইক্সা, নতুন প্রেসিডেন্ট যেই হন না কেন, বড়সড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে তার জন্য। ছয়বারের বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে রাখা, মাঠের পারফর্ম্যান্সে উন্নতি প্রভৃতি তো আছেই; বার্তোমেওর রেখে যাওয়া ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা সামলানোর গুরুদায়িত্বটাও পড়বে নতুন সভাপতির ওপর।
বিজ্ঞাপন
এসব সমস্যার আশু সমাধান যখন প্রয়োজন, নির্বাচনটা পেছাল তখনই। একে ক্লাবের জন্য খারাপ খবর হিসেবে দেখলেন সাবেক বার্সা সভাপতি ও আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী লাপোর্তা।
২৪ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনটাকে সরিয়ে দেয়া বার্সার জন্য খারাপ খবর। ক্লাবের অতিসত্বর একজন নতুন সভাপতি আর কার্যনির্বাহী বোর্ড চাই যারা এই গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে সিদ্ধান্ত নেবে। আরও বেশি রাজস্ব আয় করে এই দেনার দায় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জরুরী ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন আমাদের। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের একজন সভাপতি চাই।
হোয়ান লাপোর্তা, সভাপতি পদপ্রার্থী, বার্সেলোনা
এনইউ