ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো স্টেডিয়াম নেই। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নানা সমস্যায় জর্জরিত আবার মাঝেমধ্যে অ্যাথলেটিক্স, সাইক্লিংসহ জাতীয় কারণে ফুটবল ফেডারেশনকে আপোস করতে হয়। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি চাহিদা ছিল পূর্ণাঙ্গ ফুটবল স্টেডিয়ামের। সেই চাহিদা পূরণ হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে বাফুফে কর্মকর্তারা মন্ত্রনালয়ের সচিবের সাথে আলোচনার পর পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম পাবার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে অন্যতম সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। পূর্বাচলে ফুটবলের জন্য সুনির্দিষ্ট ভেন্যু চেয়েছি আমরা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় থেকে গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে ফুটবলের জন্য পূর্বাচলে স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেয়ার জন্য চিঠি দেবে শীঘ্রই। আমরা আশাবাদী একটি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল স্টেডিয়াম পাব।’
 
পূর্বাচলে ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ চলছে সেখানে। রাজধানীর অদূরে ক্রিকেটের মতো সেখানে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বাফুফে ভবনে নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। সেখানে বাফুফে কর্মকর্তারা ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে অনেকগুলো দাবি দাওয়া পেশ করেন। মঙ্গলবার মন্ত্রনালয়ের সভাটি ছিল আগের সভারই ফলো আপ।
 
পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের ব্যাপারটি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাফুফে একাডেমির আবাসিক ক্যাম্পের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এই বিষয়ে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মানিক বলেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রনালয় আমাদের বাফুফেকে কমলাপুরে আবাসিক ক্যাম্প করার অনুমতি দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্র কিছুদিনের মধ্যেই পাব। আমরা কমলাপুরের আবাসন ব্যবস্থা আরও উন্নত করব।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব আকতার হোসেন, এ সময় মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব, বিকেএসপি’র পরিচালক সহ বাফুফের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এজেড/