ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন তিনি। সেই দানি আলভেস বার্সেলোনায় ফিরেছেন কিছুদিন হলো। জানিয়েছিলেন, ক্লাবকে সাহায্য করতে যে কোনো কিছু করতে রাজি তিনি। সে সাহায্য করতেই কিনা, লা লিগায় বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতনেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে কাতালানদের কাছ থেকে নিচ্ছেন ৩ হাজার ইউরোরও কিছু কম অর্থ! 

জাভি হার্নান্দেজকে কোচ করে ফেরানোর পরই দানি আলভেসকে ফেরানোয় মনোযোগ দিয়েছিলেন বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। ২০০৮-০৯ মৌসুমের দলবদলে পেপ গার্দিওলাও প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দলে ভিড়িয়েছিলেন তাকেই! 

ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয় মোটেও। দলটি যেন আরও খারাপ অবস্থায় না পড়ে যায়, সে কারণেই লা লিগা কর্তৃপক্ষ দলটির ওপর বেধে দিয়েছে বেতন বাবদ অর্থ ব্যবহারের সীমা। সে কারণেই জাভির ফেরার সময় তাকে ও তার টেকনিক্যাল স্টাফদের মাত্র ৩.৯ মিলিয়ন ইউরোর একটা চুক্তিই দিতে পেরেছে বার্সা। এই বেতনও কাতালান ক্লাবটিকে নিয়ে গেছে তাদের বেতন সীমার খুব কাছাকাছি। যে কারণে আলভেসের বেতন দেওয়ার জায়গাই ছিল না বার্সার। 

ফলে দুই পক্ষকেই নামে মাত্র বেতনে চুক্তিতে সই করতে হয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম লা ভ্যানগার্ডিয়া জানাচ্ছে, আলভেস চলতি চুক্তির অধীনে বার্সেলোনায় থাকা কালে বছরে আয় করবেন মাত্র ১৫৫০০০ ইউরো, সপ্তাহের হিসেবে যা ৩ হাজার ইউরোরও কম।

এই চুক্তির পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে যা, সেটা হচ্ছে ক্লাবের প্রতি আলভেসের ভালোবাসা। শেষ কয়েক বছরে বার্সেলোনায় ফেরার ইচ্ছা অনেকবারই প্রকাশ করেছিলেন তিনি, সেটাই ঘটেছে এবার। বিশেষত কোচ হিসেবে তার সাবেক সতীর্থ জাভি আসার পরই। তার সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই মূলত এ মিশনে নামে বার্সা। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছিল, আলভেসকে ফেরানোর কথা বলা হয়েছিল সাবেক কোচ রোনাল্ড কোম্যানকেও, কিন্তু তিনি তা উড়িয়েই দিয়েছিলেন।

আলভেস অবশ্য চলতি বছরে আর বার্সেলোনার হয়ে খেলতে পারবেন না। জানুয়ারিতে শীতকালীন দলবদলে তাকে নিবন্ধন করাতে হবে বার্সাকে। তবে তার আগ পর্যন্ত আলভেস অনুশীলন করবেন দলের সঙ্গে, চেষ্টা করবেন ক্লাবে নতুনদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার।

এনইউ