স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে টানা দ্বিতীয় জয় পেল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচে ৩-০ গোলে সাইফ এগিয়ে গেলেও শেষ দিকে ১০ জন নিয়ে খেলে দুই গোল পরিশোধ করে মুক্তিযোদ্ধা। 

ম্যাচের ১১ মিনিটে সুযোগ তৈরি হয়েছিল সাইফের সামনে। কিন্তু এমফন সানডে বলের নাগাল নেয়ার আগেই তা চলে যায় মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক রাজিবের কাছে। ১৭ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাগ। দুইবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। দু’বারই গোলবার অক্ষত রাখেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজিব। 

১৮ মিনিটে ফাহিমের গোলে লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং। দারুণভাবে আড়াআড়ি শটে গোল করেন ফাহিম। ২৪ মিনিটে জায়গা করে শট নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধার মিশরীয় ফরোয়ার্ড আহমেদ আইমান। ডান দিকে পরে বল নিজের আয়ত্তে নেন সাইফের গোলরক্ষক মিতুল হোসেন। ৩৩ মিনিটে আড়াআড়িভাবে ভালো শট নিয়েছিলেন সাইফের এমেকা ওগবাগ। বাঁ দিকে ঝাপিয়ে সেই বল নিজের গ্রিপে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার রাজীব। ৪১ মিনিটে এমেগা ওবাগের সাথে বোঝাপড়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নাসিরুল ইসলাম। 

প্রথমার্ধের শেষ দিকে জামাল ভূঁইয়ার ব্যাকপাস গোলকিপার মিতুল গ্রিপে নিলে বক্সের ভেতর ফ্রি কিক দেন রেফারি। ঘরোয়া ফুটবলে এ রকম ফ্রি কিক সাধারণত দেখা যায় না। গোলরক্ষকসহ সাইফের সব ফুটবলার গোলপোস্টের সামনে মানব দেয়াল তৈরি করে। কিন্তু  সেই দেয়াল ভেদ করতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। 

৪৭ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। সাইফের এমফন সানডের শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ৭৬ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মু্ক্তিযোদ্ধা। ফাহিমকে ফাউল করে সজন মিয়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বারবার সুযোগ নষ্ট হলেও ৮১ মিনিটে আর সেটি হয়নি। সাজ্জাদ হোসেনের গোলে ম্যাচে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। 

৮৭ মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে মুক্তিযোদ্ধা কেসি। গোল করেন জাপানিজ ফরোয়ার্ড তেতসুয়াকি। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ডি বক্সের ভেতর নাসির তেতসুয়াকিকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা। স্পট কিক থেকে গোল করেন তেতসুয়াকি। ১০ জন নিয়ে শেষ ছয় মিনিটে দুই গোল করে মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ালেও পয়েন্ট ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

এজেড/এমএইচ