স্কোয়াডে নেই প্রাণতোষ। এরপরও ফাইনালে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তার হাতে। প্রাণতোষের ৮ নম্বর জার্সি পরেছিলেন আবাহনীর সবাই। খেলা শুরুর আগে প্রাণতোষের অবসর নেওয়ার জন্য ছোটখাটো আয়োজন। 

আবাহনী ও প্রাণতোষ কুমার দাস অনেকটা সমার্থক শব্দ। প্রিয় ক্লাবটি থেকেই ফুটবলার হিসেবে জার্সি তুলে রাখলেন। স্বাধীনতা কাপ ফাইনালের আগে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রাণতোষকে বিদায় জানায় ফুটবলাঙ্গন। তার বিদায়বেলায় সতীর্থ ফুটবলাররা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, আবাহনী ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রাণতোষকে ফুল দিয়ে বিদায় জানায়। 

আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে প্রায় ২৭ বছরের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন প্রাণতোষ। ১৯৯৪ সালে বিমানকাপ অ-১৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু। খেলেছেন খুলনা জেলা, ভিক্টোরিয়া ও মোহামেডানের জার্সিতে। 

তবে ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা কেটেছে আবাহনী ক্লাবে। যোগ দেন ২০০৭ সালে। তারপর আর ক্লাবের মায়া ছাড়েননি। ২০০৯ আর ২০১১ মৌসুমে ছিলেন আবাহনীর অধিনায়ক। ২০১০ সালে জিতেছেন শেখ কামাল স্বর্ণপদক।

এএফসি-সি লাইসেন্স শেষ করেছেন, নতুন ক্যারিয়ার গড়তে চান কোচিংয়ে। আবাহনীর ‘প্রাণ’ প্রাণতোষ ফিরবেন কোচিং প্যানেলের সদস্য হয়ে। 

এজেড/এমএইচ/এটি