নিউজিল্যান্ড থেকে চলে আসতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, বিসিবির ‘না’
টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকল। সামনে আরও অনেক সিরিজ। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে মেলেনি স্বস্তি। কয়েক দফায় বেড়েছে বিধিনিষেধ। এমন অবস্থায় সিরিজ রেখে দেশে চলে আসতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।
তবে বিসিবি তাতে রাজি হয়নি। ফের যদি কোয়ারেন্টাইন বাড়ে তাহলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত ৮ ডিসেম্বর দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। দলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং দেশটির করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় বাংলাদেশ দলের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আজ (শনিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনানুষ্ঠানিক সভা শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে দেশে চলে আসতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে সিরিজ শেষ না করে দলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় না বোর্ড।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘মানসিক ও শারীরিকভাবে তারা একেবারেই ক্লান্ত। অনেক খেলোয়াড় চিন্তা করছিল চলে আসা যায় কি না, সিরিজ বাদ দেওয়া যায় কি না। আসলে এটার কোনো সুযোগ নেই। যদি ২১ তারিখের পর আবার কোয়ারেন্টিন আবার বাড়ানো হলে তখন ওদের সাথে আলোচনায় যেতে পারব।’
বিজ্ঞাপন
‘২১ তারিখের পর যদি আবার ২-৪ দিন বাড়ায়? এজন্য ওরা কিছু বলতে পারছে না। তাই ২১ তারিখের আগে কেউই কিছু বলতে পারছি না। ওরা যদি সিরিজ ৩-৪ দিন পিছিয়ে দেয় তাহলে তো আমাদের না করার কোনো পথ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত অনুশীলন সুবিধা না দিলে খেলা কঠিন- এটা আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি।’
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলন নেমেছিলেন। তবে আবার শুনতে হলো দুঃসংবাদ। আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার বন্দি জীবন কাটাতে হবে তাদের।
পাপন জানালেন, ২১ তারিখের পর আবার কোয়ারেন্টাইন বৃদ্ধি করলে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। তবে সিরিজ বাতিলের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন পাপন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচটি গড়ানোর কথা আছে আগামী ১ জানুয়ারি, বে ওভালে। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি হওয়ার কথা ৯ জানুয়ারি হ্যাগলি ওভালে।
সফরে গিয়ে করোনা পজিটিভ হয়েছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
টিআইএস/এটি/জেএস