গেল বছর কোটি-কোটি ভক্তকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মাত্রই ৬০ ছুঁয়েছিলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে এ আর এমন কী বয়স? 

ভাইয়ের দেখানো পথ ধরে এক বছর পর তার ছোট ভাই হুগো ম্যারাডোনাও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। তিনি বাঁচতে পারলেন ভাইয়ের চেয়েও ৮টি বছর কম। ৫২ বছর বয়সেই জীবনাবসান ঘটেছে তার। ইতালীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

ম্যারাডোনার ক্লাব ন্যাপোলি নিশ্চিত করেছে বিষয়টা। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘হুগো ম্যারাডোনা আর নেই।’ তার মৃত্যুর শোক ছুঁয়েছে ন্যাপোলির সভাপতি অরেলিও ডি লরেন্তিসকেও। তিনি বলেছেন, ‘ম্যারাডোনার পরিবারের পাশে থাকুন। হুগোর মৃত্যুর বেদনায় তাদের সঙ্গে সমব্যথী হোন।’

সাবেক আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার সিনিয়র ক্যারিয়ারে খুব একটা নাম করতে পারেননি। ইতালি, অস্ট্রিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা এবং জাপানের বেশ কিছু ক্লাবে যাযাবরের মতো কেটেছে তার খেলোয়াড়ি জীবন। শেষমেশ স্থায়ীভাবে তিনি থিতু হন ইতালিতে। নেপলসের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই জীবনের বাকি অংশ কাটিয়েছেন তিনি। 

ক্লাব ক্যারিয়ারটা অতো সমৃদ্ধ না হলেও ভাই ম্যারাডোনার ক্লাব ন্যাপোলিতে নাম লিখিয়েছিলেন হুগো। তবে ১৯৮৭ সালে সেই চুক্তি করার পর ভাইয়ের সঙ্গে খেলা হয়নি তার। এরপরই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় ক্লাব আসকোলিতে। সেখানে অবশ্য ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছিল তার। সেই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর একে অপরের বিপক্ষে খেলেন দু’জনে। সে ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছিল ম্যারাডোনার ন্যাপোলি।

গেল বছর নভেম্বরের ২৫ তারিখ ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার প্রায় ১৩ মাস পর ৫২ বছর বয়সী হুগোও পাড়ি জমালেন তার কাছেই।