আবাহনী ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিল একটু ব্যাকফুটে থেকেই। দুই ব্রাজিলিয়ান ছিলেন না। এরপর দলের অন্যতম ফুটবলার সুশান্ত ত্রিপুরা, হৃদয় অনুপস্থিত। কাগজে-কলমে শক্তিশালী হলেও ইনজুরি আবাহনীকে পিছিয়ে দিয়েছিল অনেক। সেই সুযোগটি অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি রহমতগঞ্জ।

দলটির কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী ফের ফাইনালে হারায় খানিকটা হতাশাই ব্যক্ত করেছেন, ‘ফুটবল আসলে গোলের খেলা। ভাগ্যেরও খেলা। আমরা দুটি গোল উপহার দিয়েছি। আমরা প্রথমার্ধে আধিপত্য করেছি, কলিনদ্রেসকে খেলার সুযোগ দেইনি। সে একটা সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছে।’ 

এই টুর্নামেন্টে অন্য ম্যাচে নাইজেরিয়ান সানডে যেভাবে খেলেছেন আজ সেভাবে তাকে দেখা যায়নি। ফাইনালে কোচের কাঠগড়ায় খানিকটা এই নাইজেরিয়ান, ‘সানডে (চিজোবা) গত দুই বছর যেভাবে খেলছে, আজ সেভাবে খেলতে পারেনি। চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি।’ ফেডারেশন কাপে ব্যর্থ হলেও লিগ নিয়ে আশাবাদ তার, ‘আমি এবার লিগ নিয়ে আশাবাদী; লিগে রহমতগঞ্জ উজ্জীবিত হয়ে খেলবে।’

চারজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছাড়া শিরোপা জিতে যেন হাফ ছেড়ে বাচলেন পর্তুগিজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস, ‘হৃদয়, সুশান্ত, দোরিয়েলতন ও রাফায়েল এই চারজনকে আমরা পাইনি। রাফায়েল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে আমরা প্রথমার্ধে ভুগেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি। প্রথমার্ধে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না, সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি ছিল।’

এই চারজন না পাওয়ায় খেলার পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তনও এনেছেন আবাহনী কোচ, ‘আমরা জানতাম রাফায়েল ও দেরিয়েলতনকে পাব না। তাই গোলের জন্য বক্সের কাছাকাছি কলিনদ্রেসকে খেলিয়েছি। এটা আসলেই কঠিন ম্যাচ ছিল। আমিও চাপ অনুভব করেছি। কখনও কখনও আপনি যদি শিরোপা না জিতেন, তাহলে নিজের প্রতিই আপনার সন্দেহ জাগবে। এই শিরোপা তাই আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

এজেড/এমএইচ