এবারও কলিন্দ্রেসেই হারল রহমতগঞ্জ
এ যেন দুই বছর আগের ফেডারেশন কাপের ফাইনালের প্রতিচ্ছবি। রহমতগঞ্জ ২-১ গোলে হারল দুই বারই। প্রতিবারই রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ দলে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। দুই বারই সফল এই কোস্টারিকান।
বসুন্ধরা কিংসের হয়ে সেই ফাইনালে জোড়া গোল কলিন্দ্রেসের। এবার আবাহনীর হয়ে প্রথম গোলটি তার। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলা রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল কলিন্দ্রেসের গোলই। দ্বিতীয় গোলটি রাকিব হোসেন করলেও ম্যাচের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হয়েছিল কলিন্দ্রেসের গোলেই। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনাল সেরার পুরস্কার কলিন্দ্রেসের হাতে উঠেছে। দুই বছর আগেও তিনি ছিলেন ফাইনাল সেরা।
এবার ফাইনাল সেরার পাশাপাশি টুর্নামেন্টর সেরা ফুটবলারও হয়েছেন কলিন্দ্রেস। এত পুরস্কার পেয়েও নিজের পেশাদারিত্বের পরিচয়ই দিলেন ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার এই ফুটবলার, ‘আমি সুযোগ পেয়েছি এবং সেটা কাজে লাগিয়েছি। মাকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আবাহনীতে এবং বাংলাদেশে আমার ভালো সময় কাটছে। (আবাহনী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলব) সাবাশ, সাবাশ।’
বিজ্ঞাপন
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রহমতগঞ্জের ফিলিপ ও আবাহনীর ডার্লিংটন। ব্রাজিলিয়ান ডার্লিংটন ইনজুরির জন্য এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলতে পারেনি। তার সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফি নিয়ে রহমতগঞ্জের ফিলিপকে দিয়ে দেন। প্লেয়ার অফ দ্য স্পিরিটের দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি করলেন ডার্লিংটন। এর আগে সেমিফাইনালে কলিন্দ্রেস তার ম্যাচ সেরার ক্রেস্ট দিয়েছিলেন নিজ দলের গোলরক্ষক সোহেলকে।
এই টুর্নামেন্টে ফেয়ার প্লে ট্রফিও জিতেছে চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা আবাহনী। স্বাধীনতা কাপের ফেয়ার প্লে জিতেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন দলের ফেয়ার প্লে দেয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ফুটবলে তেমন দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
এজেড/এমএইচ