লেভান্ডভস্কির ২৫০, মেসির মাইলফলক
ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব শেষ হতেই মাঝ-সপ্তাহেও জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপীয় লিগগুলোর সূচী। তাতে লিওনেল মেসি ছুঁয়েছেন নতুন মাইলফলক, ২৫০ গোলের কীর্তি গড়েছেন রবার্ট লেভান্ডভস্কিও। চলতি গেমউইকে ইউরোপীয় ফুটবলের সব রেকর্ড দেখে নেয়া যাক এক নজরে...
প্রিমিয়ার লিগ
৩ বৃহস্পতিবার রাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৯০ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর করা গোলটি ছিলো প্রিমিয়ার লিগে জোসে মরিনিয়োর দলের বিপক্ষে মাত্র তৃতীয় ‘ইনজুরি-টাইম গোল’। এর আগের দুই ‘শত্রু’ ছিলেন মার্ক ভিদুকা (মিডলসবরো, ২০০৬), ও ওসামা আসসাইদি (স্টোক সিটি, ২০১৩)।
বিজ্ঞাপন
৫ লিডস ইউনাইটেড নিজ মাঠে নিউক্যাসলকে হারিয়েছে ৫-২ ব্যবধানে। নিজেদের মাঠে ১৯ বছর পর পাঁচ কিংবা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়লো দলটি। ২০০১ সালে মে মাসে সেবার ব্রাডফোর্ডকে ৬-১ গোলে হারায় লিডস।
২০ ১২ ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটির সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। ২০০৯-১০ মৌসুমের পর ১২ ম্যাচ শেষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনের নজির।
বিজ্ঞাপন
২৫ চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ গোলমুখে ২৫ এরও বেশি শট নেয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫ বার, তিনবারই করেছে লিডস! ২৫ এরও বেশি শট নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা, আর্সেনাল ও নিউক্যাসল গোলমুখে।
৩৬ প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে ৩৬তম বারের মতো ৯০ মিনিটে গোল করে ম্যাচ জিতেছে লিভারপুল, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২৫ ও ২৪ টি জয় নিয়ে দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
৬৬ নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে এ নিয়ে ৬৬ ম্যাচে অপরাজিত রইলো লিভারপুল। তবে রেকর্ড থেকে বেশ দূরেই আছে দলটি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নিজেদের মাঠে ৮৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিলো চেলসি।
৮০% লিভারপুলের বিপক্ষে সন হিউং মিনের গোলটির ফলে চলতি মৌসুমে টটেনহ্যামের গোলে সন বা কেইনের অবদানের হার দাঁড়াল ৮০%। যার মাঝে কেইন করেছেন ৯ গোল, সনের গোল ১১ টি।
বুন্ডেসলিগা
৫ চলতি মৌসুমে পিছিয়ে পড়েও জয়ের কীর্তি এ নিয়ে ৫ বার গড়লো বায়ার্ন মিউনিখ, এর চেয়ে বেশি এ কীর্তি নেই আর কারো। এ কীর্তিতে বায়ার্নের সঙ্গে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তাদেরও জয় পাঁচটি।
২৫১ ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ২৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁলেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি। এর আগের দুইজন হলেন, ক্লস ফিশার (৫৩৫ ম্যাচে ২৬৮ গোল) ও জার্ড মুলার (৪২৭ ম্যাচে ৩৬৫ গোল)
সিরি’আ
৬ এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চলতি মৌসুমে ড্রয়ে বাধ্য হলো জুভেন্তাস। শেষবার ১২ ম্যাচ শেষে দলটি এ নজির গড়ে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে, সেবার ষষ্ঠ হয়ে লিগ শেষ করেছিলো দলটি।
১৪ টানা ১৪ ম্যাচে কমপক্ষে দুটো করে গোল করেছে এসি মিলান। যাতে ভেঙে গেছে ৭২ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৪৮ সালে তোরিনো টানা ১৩ ম্যাচে জোড়া গোলের কীর্তি গড়েছিলো!
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ
এও কি সম্ভব? মেসি রোনালদোর কেউই এই গেমউইকে গোল করতে পারেননি। তবে মেসি এরপরও মাইলফলক ছুঁয়েছেন ঠিকই।
৩০০ সোসিয়েদাদের বিপক্ষে জয়টি ছিলো ন্যু ক্যাম্পে মেসির ৩০০তম জয়। এর ২১১ টা এসেছে লা লিগায়, ৫৩টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সুপার কাপ ও কোপা দেল রেতে এসেছে যথাক্রমে ৬ ও ৩০টি।
এনইউ