ছবি:সংগৃহীত

চোটের কারণে নেইমার ছিটকে গেছেন অন্তত এক মাসের জন্যে। এ পরিস্থিতিতে পিএসজির দায়-দায়িত্বের বড় একটা অংশ এসে পড়েছে তরুণতুর্কি কিলিয়ান এমবাপের উপর। সে দায়িত্ব নেইমারহীন প্রথম ম্যাচে ভালোভাবেই সামলালেন ফরাসি তারকা। দলের প্রথম গোল করে ফরাসি লিগ ওয়ানে লরিয়েঁর বিপক্ষে পিএসজিকে পাইয়ে দিয়েছেন ২-০ ব্যবধানের জয়।

রোববার রাতে লিওঁর কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে বেশ অচেনা এক স্বাদ পেয়েছিলো পিএসজি। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে পা রাখে লিগ তালিকার সেরা দুইয়ের বাইরে থেকে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে প্রথমার্ধে বেশ চনমনে ছিলো কোচ থমাস টুখেলের শিষ্যরা। গোলের দেখা অবশ্য পায়নি পিএসজি। আন্দার হেরেরার শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। এর আগে সুযোগ এসেছিলো আগের ম্যাচে নিমেঁকে ৩-০ গোলে হারানো লরিয়েঁরও। তেরেম মোফির শটটা বেরিয়ে যায় লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর খেলার দৃশ্য পাল্টায় দ্বিতীয়ার্ধের ঠিক শুরুতে। আন্দ্রেয়ু গ্র্যাভিলনের লাল কার্ডে। বক্সে এগোতে থাকা এমবাপেকে অবৈধভাবে আটকে দিয়ে মার্চিং অর্ডার পান তিনি। পেনাল্টি থেকে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ফরাসি তারকা এমবাপে। চলতি লিগে এটি তার ১১তম গোল। এর ঠিক পরমূহুর্তেই ১২ নম্বর গোলের সুযোগটাও পেয়ে বসেছিলেন এমবাপে। তবে সে সুযোগটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

তবে দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা খুব বেশি সময় করতে হয়নি পিএসজিকে। প্রথম গোলের মিনিট দশেক পর মইস কিনের লক্ষ্যভেদ ম্যাচটাকে নিয়ে যায় লরিয়েঁর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্যবধান আরও বাড়তেও পারতো, ৮০ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে লেইভিন কুরজাওয়ার শটও প্রতিহত হয় ক্রসবারে। তবে সেটা পিএসজির জন্যে কোনো দুর্ভাগ্য বয়ে আনেনি আদৌ, দুই গোলে পিছিয়ে সফরকারী লরিয়েঁ যে মানসিকভাবে হেরেই গেছে ততক্ষণে! শেষ একটা চেষ্টা অবশ্য করেছিলো সফরকারীরা, শেষ মূহুর্তে আদ্রিয়ান গ্রাবিচের শটটা প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। ফলে পিএসজি পায় ২-০ গোলের এক জয়, ফেরে লিগ ধরে রাখার কক্ষপথে।

তবে এতেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলার উপায় নেই দলটির। আগামী রোববারেই যে টেবিলের শীর্ষে থাকা লিলের মুখোমুখি হবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা! ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএসজি, শীর্ষে থাকা লিলের সংগ্রহ ৩১; ম্যাচটা হারলেই পিছিয়ে পড়তে হবে চার পয়েন্টে। এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই আগামী রোববার লিলের আতিথ্য নেবেন এমবাপেরা।

এনইউ