গেল বছর সব মিলিয়ে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ব্রাজিলীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পুরো খেলাটা শেষ না করেই উঠে যেতে হয়েছিল দুই দলকে। সেই ম্যাচের ভাগ্য কী, এ প্রশ্নের সমাধান এখনো দেয়নি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল। 

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষের দিকে, কনমেবল অঞ্চলের বাছাইও প্রায় শেষ দিকে। আর বাকি দুটো ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে এসেও সেই ম্যাচ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি কনমেবলের কাছ থেকে। অবশেষে সেই ম্যাচ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী জুনে স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচটি আবারও খেলবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জানাচ্ছে টিওয়াইসি স্পোর্টস। 

ব্রাজিলের মাটিতে গত ৫ সেপ্টেম্বরের সেই ম্যাচে সমস্যাটা শুরু হয় মূলত ইংল্যান্ড থেকে আসা আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারের কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোদের কোয়ারেন্টাইন শর্ত না মানার অভিযোগ আগে থেকেই করে আসছিল ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির নির্দেশনা অনুয়ায়ী, সে সময় ব্রাজিলিয়ান ছাড়া অন্য কেউ ব্রিটেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ব্রাজিলে প্রবেশ করা ছিল নিষিদ্ধ। যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তাদের অবশ্যই দেশটিতে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো তখন।

সেই নিয়মটাই উপেক্ষা করেছিলেন আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে থাকা চার ফুটবলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো চেলসো ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ক্ষেত্রে। এমনকি তাদের একাদশে নিয়েও মাঠে নামে আলবিসেলেস্তেরা। সে নিয়েই সৃষ্টি হয় জটিলতা। 

তারা ম্যাচের পাঁচ মিনিট খেলে ফেলার পর শুরু হয় বিপত্তি। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঢুকে পড়েন মাঠে। তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক হয় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের। পরে মাঠ ছেড়ে চলে যান আলবিসেলেস্তে ফুটবলাররা।

শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল, ফিফা ও কনমেবল সেই ম্যাচটি থেকে আর্জেন্টিনাকে জয়ী ঘোষণা করে ৩ পয়েন্ট দিয়ে দেবে। কারণ ম্যাচটা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের সব কাজ ব্রাজিলকেই সারতে হতো। সে কাজে ব্যর্থতার খেসারত হিসেবেই ব্রাজিলকে পরাজিত দেখানো হতো সেই ম্যাচে, এমনটাই ছিল ধারণা। যদিও কনমেবল সে পথে হাঁটেনি পরে। 

এরপর থেকে শোনা যাচ্ছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। ফিফা-কনমেবলের নির্ভরযোগ্য সূত্র ধরে টিওয়াইসি স্পোর্টসের জানাচ্ছে, ব্রাজিল আর্জেন্টিনার মধ্যকার এই লড়াইটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুন মাসে, দুই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ের বিরতিতে। ম্যাচটা যে ব্রাজিলে হবে না, এ বিষয়টাও প্রায় নিশ্চিত। এমনকি বদলে যেতে পারে মহাদেশও। 

এখানেই শেষ নয়, নির্ধারিত সূচি মেনে, ম্যাচটা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাজিলের ওপর নেমে আসতে পারে আর্থিক দণ্ডও। তবে সে অর্থের অঙ্কটা কত বড়, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি এখনো। 

এনইউ/এটি