ইনজুরি সময়ের গোলে সাইফের জয়
নির্ধারিত সময় গোলশূন্য। ইনজুরি সময় তিন মিনিট। দ্বিতীয় মিনিটের সময় একমাত্র জয়সূচক গোল করেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এমেরি বাইসেঙ্গে। ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করেন সাইফের এমেরি বাইসেঙ্গে। দর্শনীয় গোল ছিল এটি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও গোল বাঁচাতে পারেননি পুলিশের গোলরক্ষক নেহাল।
পেটের পীড়ায় ভোগা সাইফের নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে ছাড়াই শুরুর একাদশ সাজান আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি। বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে মাঠে নামে দুই দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এবং বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে ছিল। বল টেনে নিতে বেগ পেতে হয়েছে দুদলের খেলোয়াড়দের।
বিজ্ঞাপন
২৯ মিনিটে পুলিশের ভুল পাসে গোলের সুযোগ তৈরি হয় সাইফের। মাঠে জমে থাকা পানির কারণে ঠিকঠাক শট নিতে ব্যর্থ হন সাইফের ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেন। ৩৫ মিনিটে পুলিশের বক্সে সাইফের রহিমের আচমকা নেওয়া শট ফাহিমের মাথায় লেগে পোস্টের বাইরে চলে যায়। অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় সাইফ এসসি।
৩৮ মিনিটে পুলিশের বিদেশি খেলোয়াড় আফগানিস্তানের আমিরুদ্দিন শরিফি গোলবারে বল পেয়েও বক্সের ভেতর জমে থাকা পানির কারণে শট নিতে পারেননি। পরে সাইফের ডিফেন্ডাররা এসে বল ক্লিয়ার করেন। ৪৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে পুলিশের আমিরি। গোল পোস্ট ফাঁকা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
রিয়াদুল রাফির দৃঢ়তায় এ যাত্রায় বেঁচে যায় সাইফ এসসি। ৫৬ মিনিটে দারুণ এক গোলের সুযোগ তৈরি হয় পুলিশের। পোস্টে নেওয়া দলটির বিদেশি খেলোয়াড় জার্মানির আদিল কুসকুসের শট সাইফের গোলরক্ষক মিতুল হাসান ঠেকিয়ে দেন। বড় বাঁচা বেঁচে যায় সাইফ এসসি। ৮৭ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া সাইফের। নাসিরুল ইসলামের ফ্রি-কিক থেকে গোলবারে হেড নেন রহিম উদ্দিন। পুলিশের গোলরক্ষক নেহালের গ্রিপবন্দি হয় বল। গোলবঞ্চিত হয় সাইফ এসসি।
এজেড/এমএইচ