সতীর্থ ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সঙ্গে গোলের উদযাপন ডোরিয়েল্টনের (বামে)/বাফুফে

লিগের তৃতীয় রাউন্ডে এসে দেখা মিলল প্রথম হ্যাটট্রিকের। ঢাকা আবাহনীর হয়ে মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডোরিয়েল্টন। তার হ্যাটট্রিকের সুবাদে পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জকে ৩-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। তিন ম্যাচে আবাহনী সাত পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে। অন্য দিকে রহমতগঞ্জ সমান ম্যাচে এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি।

৪০-৪৫ এই পাঁচ মিনিটে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ও ডোরিয়েল্টনের ঝড়ে মূলত ম্যাচ হারে রহমতগঞ্জ। ডোরিয়েল্টনের তিন গোলের মধ্যে দুই গোলের যোগানদাতা বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকান ফুটবলার কলিন্দ্রেস। তাই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে হলুদ কার্ডের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সামনে নিজের জার্সি খুলে রাখেন।

৪০ মিনিটে কলিন্দ্রেসের কর্ণার থেকে হেডে গোল করেন ডোরিয়েল্টন। তার নেয়া হেড ওয়ালী ফয়সালের সামনে ড্রপ খেয়ে বল গোললাইন অতিক্রম করে। ৪৩ মিনিটে ড্যানিয়েলের পাসে বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেন ডোরিয়েল্টন। গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে বল জালে পাঠান। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান। মিডফিল্ড থেকে পাওয়া এক থ্রুতে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক উদযাপন করেন। 

রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারলেও শুরুটা ছিল পুরান ঢাকার ক্লাবের আধিপত্য দিয়েই।  প্রথম ত্রিশ মিনিটের মধ্যে রহমতগঞ্জের লিড নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে কয়েকবার। ম্যাচের ৯ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় রহমতগঞ্জ। দুই দফা চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা দলটি। 

২৩ মিনিটে বিপদজনক ভাবে বক্সে প্রবেশ করেন ফিলিপ আদযা। কিন্তু  আড়াআড়ি যে শট নেন তাতে বল জালে জড়ায়নি। ছয় মিনিট পর দারুন সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ফিলিপ আদযা এবারও মিস করেন। প্রথম গোলের আগে ঢাকা আবাহনীর এক ফুটবলার উচু বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে বড় ধরনের ফাউল করেন। সেখানে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন কিছুটা বিলম্বে। ওই অ্যাকশনে অন্য রকম সিদ্ধান্ত আসলে ম্যাচের ফলাফল ও চিত্র ভিন্ন হতে পারতো।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী তাদের প্রাধান্য বজায় রাখে। ৬০ মিনিটে আবাহনী ৪-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারেনি ক্রস বারের কারণে। আবুর জোরালো শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া করে রহমতগঞ্জ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবা। অনেকটা আকস্মিকভাবে সরাসরি আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলের হাতে বল তুলে দেন। 

এজেড/এটি/এনইউ