হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে বরাবরই উত্তপ্ততা ছড়ায়। তবে এবার ভোটাভুটির আভাস না থাকলেও ঐক্যমতের প্যানেল নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ ও আগামীকাল মনোনয়নপত্র গ্রহণের দিন। প্রথম দিন ছয়টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশন। 

হকি ফেডারেশনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার কবিরুল হাসান বলেন,‘আমরা আজ ছয়টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছি। আগামীকাল হয়তো মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করবেন।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে ত্রিশটি মনোনয়নপত্র কেনার পে অর্ডার করেছে একটি পক্ষ। তাদেরকে আগামীকাল মনোনয়নপত্র প্রদান করবে। 

এবারের হকি নির্বাচনে ঢাকার ক্লাবগুলো এবং জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা এক প্যানেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আজকের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া খানিকটা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ কেনা ছয়টি মনোনয়নপত্রের ছয়টিই জেলা-বিভাগীয় সংগঠকরা (কিশোরগঞ্জের হাবিবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ওয়াহেদুন্নবী,কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার আফসার উদ্দিন,সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মেহেদী হাসান, পঞ্চগড়ের রেজাউল শাহীন ও ঠাকুরগাওয়ের মাসুদ রানা)। 

ঢাকার ক্লাব ও জেলা-বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে জেলা সংগঠকদের তালিকায় এই ছয়টি নাম ছিল না। এই ছয়জনের মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও আদৌ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না নিশ্চিত নয়। 

অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফকে নিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলো এখনো নিমরাজির অবস্থায় রয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের দাবি অনুযায়ী ইউসুফকে সহ-সভাপতি করতে সম্মত হলেও একটি বিচিত্র শর্তের কথা শোনা যাচ্ছে হকি অঙ্গনে। দেশের একটি শীর্ষ ক্লাবে গিয়ে ইউসুফ আলোচনা না করলে তাকে সহ-সভাপতি পদ দিতে চায় সাঈদ-রশিদ সমর্থিত একটি পক্ষ। যদিও এই বিষয়ে ইউসুফকে সরাসরি কিছু বলা হয়নি তবে হকি অঙ্গনে এ নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। জেলা-বিভাগীয় সংগঠক হয়ে কেন ইউসুফকে একটি শীর্ষ ক্লাবে যেতে হবে তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনাও। 

এজেড/এফআই