স্বপদে ফিরলেন আবু সায়েম শাহীন। হকি কমিটির সম্পাদক থেকে উপদেষ্টা কমিটিতে সাজেদ আদেল (বাঁ থেকে)

দেশের অনেক ফেডারেশন ও ক্লাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই অন্তর্দ্বন্দ্বে হকি সবার চেয়ে এগিয়ে। সেটা ফেডারেশন এমনকি ক্লাব পর্যায়েও। মোহামেডান ক্লাব নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসার পর সাজেদ এএ আদেলকে হকি কমিটির সম্পাদক মনোনীত করেছিল। দুই মাস যেতে না যেতেই সাজেদ আদেলের পরিবর্তে আগের কমিটির সম্পাদক আবু সায়েম শাহীন মনোনীত করেছে মোহামেডান।

ক্লাবের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে অবশ্য সাজেদ আদেল নিজ থেকে তার সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেন। ফুটবল, ক্রিকেটের পর দেশের জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ খেলা হকি। সেই হকি কমিটির সম্পাদক পদে মাস দু’য়েকের মধ্যে পরিবর্তন আসায় কিছুটা ধাক্কা মোহামেডানের নতুন পরিচালনা পর্ষদের জন্য। সুনির্দিষ্ট কোন কারণে হকির সম্পাদক পদে রদবদল এই ব্যাপারে অবশ্য ক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃত্তি পাওয়া যায়নি।
 
সাজেদ আদেল মোহামেডানের সাবেক হকি খেলোয়াড় ও দীর্ঘদিন মোহামেডানের হকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনে পরিচালক পদে হেরে যান আদেল। পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় পরিচালক মঞ্জুরুল আলমকে চেয়ারম্যান ও সাজেদ আদেলকে সম্পাদক করা হয়।
 
মঞ্জু মোহামেডানের ফুটবলের সঙ্গে জড়িত থাকলেও হকিতে নতুন। সাজেদ আদেলই মূলত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তৈরি করেন। সেই কমিটিতে ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে রাখেননি তিনি। এরপর থেকেই মূলত শুরু হয় দ্বন্দ্ব ও রাজনীতি। দু’পক্ষ সভাপতি বরাবর চিঠি চালাচালি করেছে। দুই মাস আগে চেয়ারম্যান,সম্পাদক মনোনীত করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়নি ক্লাব। মূলত সম্পাদক পদ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকায় এই দীর্ঘসূত্রিতা।

সাজেদ আদেল মোহামেডানের সাবেক হকি খেলোয়াড় ও দীর্ঘদিন মোহামেডানের হকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনে পরিচালক পদে হেরে যান আদেল। পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় পরিচালক মঞ্জুরুল আলমকে চেয়ারম্যান ও সাজেদ আদেলকে সম্পাদক করা হয়।

ক্যাসিনোকাণ্ডে সমালোচিত ক্লাবের সাবেক ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার সময় সাজেদ ক্লাবের হকি থেকে দূরে ছিলেন। গত এক দশকে ক্লাবের হকির সঙ্গে সেভাবে সম্পৃক্ত না থাকলেও মোহামেডানের হকিতে সাজেদ আদেলের ছিল অসামান্য অবদান। অন্য দিকে মোহামেডানের ফুটবল, ক্রিকেটে কোনো সাফল্য নেই গত কয়েক বছরে। একমাত্র হকিতে সাফল্য রয়েছে। সেই সাফল্য সম্পৃক্ত দলের কাউকে কমিটি রাখেননি সাজেদ। ক্লাবের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ এই বিষয়টির সঠিক ভারসাম্য করতে পারেনি। 

কয়েক সদস্যের একটি সার্চ কমিটিও হয়েছিল হকির এই উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য। যতটুকু জানা গেছে, সেই কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা হয়নি। 

আজ ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাজেদ আদেলকে উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে। সাত সদস্যের সাজেদ আদেলের সঙ্গে উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন হকি ফেডারেশনের আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ক্লাবের সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিলউদ্দিন। চার সদস্যের ট্যাকনিক্যাল কমিটিতে কোনো পরিবর্তন নেই। ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স, কোচ মওদুদুর রহমান শুভকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। শহিদুল্লাহ টিটুকে সহকারি কোচ রাখা হয়েছে।

২৩ সদস্যের হকি কমিটিতে ক্লাবের সাবেক হকি খেলোয়াড়, পৃষ্ঠপোষক, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ফুটবল দলের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবকেও রাখা হয়েছে।
 
এজেড/এমএইচ