আগামীকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার হকির দলবদল। দলবদল শুরু হওয়ার আগের দিন রাতেই হঠাৎ উত্তপ্ত ক্লাবপাড়া। মতিঝিল পাড়ার ২ ক্লাব মোহামেডান ও মেরিনার ইয়াংসের মধ্যে খেলোয়াড় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ক্লাব পাড়ায় রাত ১১ টা থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

রাত দশটার পর মেরিনার ইয়াংস কর্মকর্তা ও সমর্থকসহ ৫০ জনের বেশি সংখ্যক মানুষ মোহামেডান ক্লাবে খেলোয়াড় আনতে যায়। মেরিনার্স খেলোয়াড় আনার সময় মোহামেডান ক্লাবে হালকা ভাঙচুর করে বলে দাবি সাদা-কালোদের। মোহামেডান থেকে খেলোয়াড় নিয়ে আসায় ক্লাবের হকি কমিটির সম্পাদক আবু সায়েম শাহীন ক্লাব পাড়ায় তার কর্মীদের পাঠান। ফলে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। 

মেরিনার্সের দাবি জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ডিফেন্ডার শাওন এই মৌসুমেও মেরিনার্সেই খেলবেন। তাকে আনতে মোহামেডান ক্লাবে যান তাদের সমর্থক ও কর্মকর্তারা। তবে তারা শাওনের সঙ্গে আরেক খেলোয়াড় প্রিন্স লালকেও মেরিনার্স ক্লাবে নিয়ে যান বলে দাবি মোহামেডানের। গভীর রাতে অবশ্য দুই জনই মোহামেডানে ফেরত গিয়েছেন। 

প্রিন্স লাল ও শাওনকে নিয়ে আসা সম্পর্কে মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা বলেন, ‘শাওন মেরিনার্সে আসার উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা হয়। সে দুই দিন আগে আমাদের ক্লাবে আসার কথা। মোবাইল বন্ধ, যোগাযোগ না থাকায় আমরা শঙ্কিত ছিলাম। পরে জানতে পারি সে মোহামেডান ক্লাবে। মিরপুর থেকে তাকে মোহামেডানের লোকজন ধরে নিয়ে যায়। আমাদের খেলোয়াড় মোহামেডান ধরে নিয়ে যাওয়ায় তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। সন্ধ্যার দিকে শাওনকে আমাদের ক্লাবে পাঠানোর কথা। রাত দশটা পর্যন্ত না আসায় আমরা শাওনকে খুঁজতে যাই। শাওন আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় এসেছে। প্রিন্স লাল মোহামেডানের খেলোয়াড়। সে আমাদের সঙ্গে এমনিতেই এসেছিল।’

মোহামেডান ক্লাবের হকি দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘শাওন আমাদের খেলোয়াড়। সে আমাদের সাথে কথা বলেছে ও টাকা নিয়েছে। শাওনকে আমাদের ক্লাব থেকে মেরিনার্স নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের ডাইনিং রুমে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।’

মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য, ‘আমরা কোনো প্রকার ভাঙচুর করিনি।’

শাওনকে আটকে রাখার ঘটনাটি মেরিনার্স ক্লাব মতিঝিল থানায় অবহিত করতে যায়। তারা থানায় যাওয়ার পর মোহামেডানও থানায় যোগাযোগ করে। এরপর বদলে যায় দৃশ্যপট। থানা কতৃপক্ষ মেরিনার্সের আবেদন না নিয়ে খেলোয়াড় থানায় রাখতে বলে। রাত দুইটা পর্যন্ত শাওন থানায় ছিলেন। দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শাওন আবার মোহামেডান ক্লাবে যান। 

আবাহনী-মোহামেডানে খেলোয়াড় নিবন্ধন করা নিয়ে অনেক মজার ও বিতর্কিত ঘটনা রয়েছে। অনেক দিন পর হকি দলবদলের সময় নাটকীয়তা পেল। 

এজেড/এমএইচ/এটি