বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকির অভিষেক মোটেও ভালো হয়নি। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৯-০ গোলে। প্রতিবেশি দেশটির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। 

ম্যাচের আগেই বাংলাদেশের মালয়েশিয়ান কোচ গোবীনাথান ৪০ মাস না খেলার বিষয় বারবার বলছিলেন। ৪০ মাস না খেলা বাংলাদেশ অলিম্পিক পদকজয়ী দলের সামনে পড়ে অনেকটা ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা’। 

ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস দিলেও সময়ের সাথে সাথে আশরাফুল-জিমিরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে। প্রথম পাঁচ মিনিটে ভারতের চারাটি পেনাল্টি কর্নার ঠেকায় বাংলাদেশ। মুহমুহ আক্রমণ করেও ভারতকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ মিনিট পর্যন্ত। 

১২ মিনিট দিলপ্রিত সিং ফিল্ড গোল করে ভারতকে এগিয়ে নেন। এক গোলের লিড নিয়েই প্রথম কোয়ার্টার শেষ করে ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আরও দুই গোল করে অতিথি দল। প্রথমটি ছিল ২২মিনিটে দিলপ্রিত সিংয়ের ফিল্ড গোল। পরেরটি ২৯ মিনিটে ললিতকুমার উপাধ্যায়ের পেনাল্টি কর্নার গোল। 

তৃতীয় কোয়ার্টারে তিন গোল করে টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী দলটি। ৩১ মিনিটে জার্মানপ্রিত সিং পেনাল্টি কর্নার গোলে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। ৪৩ মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন জার্মানপ্রিত সিং। ৪৪ মিনিটে দিলপ্রিত সিং ফিল্ড গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন, স্কোরলাইন হয় ৬-০। ৫৪ মিনিটে ফিল্ড গোলে ভারতকে ৭-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আকাশদ্বীপ সিং। এক মিনিটের ব্যবধানে ব্যবধান ৮-০ করেন মানদ্বীপ মোর। ৫৭ মিনিটে হারমানপ্রিত সিং ভারতের নবম গোল করেন।

প্রথম কোয়ার্টারে ব্যবধান ১-০। দ্বিতীয় কোয়াটারে ভারত গোলের ব্যবধান আরো বাড়িয়ে ৩-০ করে। মধ্য বিরতির পর ভারত একচেটিয়া খেলে। তৃতীয় কোয়ার্টারে আরো তিনটি করে ৬-০ হয় স্কোর লাইন। শেষ ও চতুর্থ কোয়ার্টারে ভারত আরো তিন গোল করলে ৯-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। 

বাংলাদেশ গোল করা তো দূরের কথা, ভারতের অর্ধে বল সেভাবে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের বক্সের সামনেই বল ঘোরাফেরা করেছে সবসময়। হকিতে গোলের অন্যতম মাধ্যম পেনাল্টি কর্নার। বাংলাদেশ পুরো ম্যাচে একটি পেনাল্টি কর্নারও আদায় করতে পারেনি। 

এজেড/এমএইচ/এটি