৯ আগস্ট তুরস্কের কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ৫ম ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। এই গেমসে বাংলাদেশ ১২ টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে। গেমসে অংশ নেয়ার আগে বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দল এক ফটোসেশনের আয়োজন করে। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। 

হ্যান্ডবল ফেডারেশনের আমন্ত্রণে বেশ উচ্ছ্বসিত এই রাষ্ট্রদূত, ‘এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। হ্যান্ডবলে এ নিয়ে আমার দ্বিতীয় আগমন। গেমসে বাংলাদেশের হ্যান্ডবল দল সহ অন্য দলগুলোর জন্যও শুভকামনা রইল।’

বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর ইসলামিক গেমসে হ্যান্ডবল দল সম্পর্কে বলেন,‘ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এই প্রথম আমরা একটা বৈশি^ক পর্যায়ের টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছি। এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের হ্যান্ডবলকে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। যা সামনে এসএ গেমস সহ অন্য টুর্নামেন্টে প্রভাব পড়বে।’ 

এবারের ইসলামিক গেমস অনুষ্ঠিত হচ্ছে তুরস্কের কোনিয়া শহরে। তুরান গেমসের শহর নির্বাচন অত্যন্ত সঠিক হয়েছে বলে মনে করেন,‘ আমার দেশ সঠিক জায়গাটিই বেছে নিয়েছে গেমসের জন্য। কোনিয়া শহরে ইসলামিক অনেক নির্দশন রয়েছে। বিশেষ করে জালাল উদ্দিন রুমির মাজার আছে। ইসলামিক গেমসের জন্য কোনিয়া শহরটি দারুণ।’ 

বাণিজ্য, রাজনীতি, ইতিহাস,ঐতিহ্যের জন্য তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারা সারা বিশ্বে পরিচিতি। এই গেমসের মাধ্যমে কোনিয়া শহরও বৈশ্বিক পরিচিত পাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশ হ্যান্ডবল দলকে খেলা শেষে কোনিয়া ও তুরস্ক ভ্রমণের কথা বলেছেন তিনি,‘কোনিয়ায় জালাল উদ্দিন রুমির মাজার এবং কোনিয়ার নিকটবর্তী শহরে অনেক ঐতিহাসিক নির্দশন রয়েছে। খেলার পাশাপাশি সেগুলো আশা করি সবাই ভ্রমণ করবে এবং সবাই তুরস্ক থেকে সুন্দর স্মৃতি নিয়ে আসবে।’

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ৫৪ দেশের অংশ নেয়ার কথা। এই গেমসের মাধ্যমে ইসলামিক দেশগুলোর আন্তঃপারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের বড় ক্ষেত্র দেখছেন এই রাষ্ট্রদূত, ‘ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নের দারুণ একটি ক্ষেত্র এই গেমস। শুধু তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যেই নয় অংশগ্রহণকারী সকল দেশের মধ্যেই এই সম্পর্ক উন্নয়ন হবে।’

তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে হ্যান্ডবল ফেডারেশন, অলিম্পিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দেয়া হয়। তুরস্কগামী গেমসের একটি জার্সিও প্রদান করা হয়। জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় ছাড়াও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা,বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ফখরুদ্দিন হায়দার উপস্থিত ছিলেন। 

এজেড/এটি