গেল অলিম্পিকে ভারতের সোনাজয়ী অ্যাথলেট নীরাজ চোপড়া/গেটি ইমেজ

বিষয়টা অনুমিতই ছিল। গত ১৬ আগস্ট অবশেষে ফিফা জানায় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা এআইএফএফকে নিষিদ্ধ করার খবর। যে কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম গেছে থমকে। তবে এখানেই শেষ নয়, ফুটবলের পর এবার দেশটির আরও তিন ক্রীড়া সংস্থা পড়ে গেছে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায়। যে কারণে ফুটবল নিষিদ্ধ হয়েছে, দেশটির অলিম্পিক, হকি আর টেবিল টেনিস সংস্থাও একই কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে।

এআইএফএফ নিষিদ্ধ হয়েছিল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হাত থাকায়। এআইএফএফের সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের (সিওএ) দ্বারা সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছিল।

সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফকে জাতীয় ফেডারেশনের নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আদালতের এই খরবদারি সহজভাবে নেয়নি ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা আদালতের খবরদারিকে তাদের সনদের পরিস্কার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করে। যে কারণে ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হয় ভারত।

আরও পড়ুন>> ভারতকে নিষিদ্ধ করল ফিফা

এআইএফএফের মতো হকি ইন্ডিয়াতে সর্বেসর্বা হয়ে বসেছে সিওএ। তবে এআইএফএফ থেকে হকি সংস্থার বিপদ আরও বেশি। সামনের বছর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা।

তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে। এফআইএইচ যদি হকি ইন্ডিয়াকে নির্বাসিত করে দেয়, তা হলে সামনের বছর ভারতে বিশ্বকাপ তো হবেই না, বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা হারাবে দেশটি।

আরও পড়ুন>> ভারত নিষিদ্ধ, খুশি সাবেক অধিনায়ক

টেবিল টেনিসের পরিস্থিতিটাও একই। দিল্লি হাইকোর্টের রায় অনুসারে সেখানেও সিওএ-কে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের দায়িত্ব।

কমনওয়েলথ গেমসের আগে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে সেই সিওএ। বাদ পড়া টেবিল টেনিস খেলোয়াড়রা এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন, এর ফলে খেলোয়াড় দিয়া চিতালে সুযোগ পান কমনওয়েলথে যাওয়ার।

আরও পড়ুন>> ভারতের সেই ‘নিষিদ্ধ’ খেলোয়াড় এখন নেপালের কোচ

ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাও (আইওএ) আছে নির্বাসনের ঝুঁকিতে। আইওএকে যদি শেষমেশ নির্বাসিত করাই হয়, তা হলে বিরাট সমস্যায় পড়বেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। অলিম্পিক্স তো বটেই, আইওএ-র অধীনে যে ক’টি ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে, তাদের কোনও ক্রীড়াবিদ কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। রাতারাতি হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।

এনইউ/এটি