রেকর্ডের ছড়াছড়ি চলছে জাতীয় ভারোত্তোলনে। গত দুই দিনে রেকর্ড হয়েছিল মোট ১৬টি। আজ তৃতীয় দিন হয়েছে আরো পাঁচ রেকর্ড। আগামীকাল প্রতিযোগিতার শেষ দিন। 

আজ পুরুষদের ৮৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে আনসারের সাখায়েত হোসেন প্রান্ত স্ন্যাচে ১৩২ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৫৫ কেজি এবং মোট ২৮৭ কেজি তুলে তিনটি রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন। সেনাবাহিনীর ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম ১০২ কেজি স্ন্যাচে ১৩৪ কেজি তুলে নতুন রেকর্ড গড়েন। মোট ২৭৯ কেজি তুলে তিনি স্বর্ণপদক জেতেন। মেয়েদের ৮১ কেজিতে আনসারের জহুরা আক্তার নিশা ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৬ কেজি তুলে নতুন রেকর্ড গড়ে স্বর্নপদক জেতেন।

শুক্রবার ভারোত্তোলন জিমন্যাশিয়ামে অনুষ্ঠিত পুরুষদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে সেনাবাহিনীর আশিকুর রহমান তাজ একাই তিনটি রেকর্ড গড়েন। স্ন্যাচে ৯৯ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১২৬ কেজি ও এবং মোট ২২৫ কেজি তুলে এই তিনটি রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। ৬১ কেজিতে আনসারের মোস্তাইন বিল্লাহ ২৩২ কেজি তুলে স্বর্ণপদক জিতলেও রেকর্ড গড়তে পারেনিন। এই বিভাগে রুপা জিতলেও স্ন্যাচে ১০৭ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের নুর আলম। ৬৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে একটি রেকর্ড করেন আনসারের বাকি বিল্লাহ। স্বর্ণ জেতা এই ভারোত্তোলক ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪২ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। মেয়েদের বিভাগে ৫৫ কেজিতে তিনটি রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর ভারোত্তোলক স্মৃতি আক্তার। স্ন্যাচে ৭০ কেজি, ক্লিন অ্যান্ডজ জার্কে ৮৫ কেজি ও মোট ১৫৫ কেজি তুলে তিনটি রেকর্ড গড়েন তিনি।


শনিবার দ্বিতীয় দিনে আটটি রেকর্ড হয়। পুরুষদের ৭৩ কেজিতে আনসারের শেখ নাঈম হোসেন স্ন্যাচে ১২০ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৬ কেজি এবং মোট ২৬৬ কেজি তুলে এই তিনটি রেকর্ড গড়েন। মেয়েদের ৫৯ কেজিতে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জেতেন আনসারের ফাহিমা আক্তার ময়না। স্ন্যাচে ৬৭ কেজি তুলে এই রেকর্ড করেন তিনি। ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জেতেন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০২ কেজি তুলে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। মেয়েদের ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে তিনটি রেকর্ড গড়েন মনীরা কাজী। স্ন্যাচে ৭২ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৫ কেজি এবং মোট ১৬৭ কেজি তুলে এই তিনটি রেকর্ড গড়েন মুনীরা।

এজেড/এনইআর