গতকালের মতো আজ শনিবারও স্বাভাবিক গতিতে চলছে বাংলাদেশ গেমস। মধ্য দুপুরে খবর আসে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন। সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের কাছে এমন ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গেমসের প্রায় সকল ভেন্যুতে খবরটি পৌছে যায়। গেমসের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে একটাই উৎকন্ঠা চলমান গেমসের কি হবে? 

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা সোমবার থেকে লকডাউনের বিষয়টি জেনেছি। আজ আমাদের অনেক ইভেন্ট রয়েছে। আগামীকালও রয়েছে। এই দু’দিন সুন্দর আয়োজনের জন্য আমরা আপাতত কাজ করছি। সোমবার থেকে গেমসের ভবিষ্যতের বিষয়টি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানাবে।’ 

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরের পর বিওএ’র শীর্ষ কর্তারা সভায় বসবেন। বিকেলের দিকে গেমসের ব্যাপারে বিওএ সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। বাংলাদেশ গেমসের আজ তৃতীয় দিন। ১০ এপ্রিল গেমসের পর্দা নামার কথা রয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে গেমস স্থগিত হলে ছয় দিনের জন্য গেমস আটকে যেতে পারে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন বিকল্প বা বিশেষ ব্যবস্থায় গেমস দ্রুত চালিয়ে শেষ করবে না স্থগিতই করে দেবে। এই ব্যাপারে আজ নাগাদই সিদ্ধান্ত জানার কথা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, নবম বাংলাদেশ গেমসে ৩১ টি ডিসিপ্লিনে কয়েক হাজার ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইভেন্টের স্বর্ণও নিষ্পত্তি হয়েছে। গত বছর করোনা ভাইরাসের জন্য স্থগিত ছিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। এবার গেমস শুরু হলেও মাঝ পথে স্থগিত হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত গেমস চলতেই থাকবে। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে গেমস এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেহেতু ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনেকগুলো ইভেন্টের ফাইনাল তাই ওই সময় পর্যন্ত গেম চলবে- জানিয়েছেন গেমসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মামুন।
 
এজেড/এটি