দিপু চাকমা/ফাইল ছবি

বাংলাদেশ গেমসের ষষ্ঠ দিনে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তায়কোয়ান্দোকা দিপু চাকমা। তবে আরচ্যারীতে রোমান সানার ব্যর্থতা চলছেই। এদিকে ক্রিকেটের পুরুষ বিভাগে লড়াই জমে ওঠেছে দারুণভাবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ গেমসের ষষ্ঠ দিনটা কেটেছে ঘটনাবহুলভাবে।

দিপু চাকমার জোড়া সোনা
চার বছর আগে অনুষ্ঠিত অষ্টম বাংলাদেশ গেমসেও দুটি সোনা জিতেছিলেন দিপু চাকমা। সেই ধারাবাহিকতা এবারও ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলেট। তায়কোয়ান্দো পুমসে (+৩২ বছর) সিনিয়র পুরুষ ইভেন্টে দুটি সোনা জিতেছেন দিপু। এককে ৮.১০ স্কোর করে প্রথম হয়েছেন তিনি। সিনিয়র পুরুষ দ্বৈতে ৭.৩০ স্কোর করে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিপু চাকমা ও জ্বলন্ত চাকমা। 

বরিশালে জমে উঠেছে ক্রিকেটের লড়াই
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের পুরুষ ক্রিকেট ডিসিপ্লিনের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। বরিশালে চার দলের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। প্রতিটি দল খেলেছে দুটি করে ম্যাচ এবং প্রত্যেক দল একটি করে ম্যাচ জিতেছে। চার ম্যাচ শেষে সব দলের অবস্থান সমান। তাই লিগ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ হয়ে পড়েছে অলিখিত সেমিফাইনাল। এ দুই ম্যাচের জয়ী দলই ফাইনালের টিকিট পাবে, লড়বে সোনা পদক জয়ের মঞ্চে। আগামী ১০ এপ্রিল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। 

জিতলেই মিলবে ফাইনালের টিকিট, এমন সমীকরণ নিয়েই শেষ দুটি ম্যাচে মাঠে নামবে দলগুলো। বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে আগামীকাল (৭ এপ্রিল) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চট্টলা ইস্ট জোন খেলবে বরেন্দ্র নর্থ জোনের বিরুদ্ধে। ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টায়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল চট্টলা ইস্ট জোন। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বরেন্দ্র জোনেরও।

আগামী ৮ এপ্রিল লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোন লড়বে চন্দ্রদ্বীপ সাউথ জোনের বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখা জাহাঙ্গীরাবাদ জয়ে ফিরেছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। চন্দ্রদ্বীপও প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছিল বরেন্দ্র নর্থ জোনের কাছে। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টলাকে হারিয়ে দেয় দলটি।  

তবে চার ম্যাচ শেষে রান রেটে এগিয়ে বরেন্দ্র নর্থ জোন। তাদের নেট রান রেট ১.৯৪৬। এছাড়া চট্টলা ইস্ট জোনের নেট রান রেট ০.১১৩, জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোনের রানরেট -০.৩৭৫ ও চন্দ্রদ্বীপ সাউথ জোনের রান রেট -১.৮৩১।

আগামীকালকের খেলা (৭ এপ্রিল)
চট্টলা ইস্ট জোন-বরেন্দ্র নর্থ জোন
ভেন্যু: শহীদ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম, বরিশাল
ম্যাচ শুরু: সকাল ৯টায়

কারাতেতে নু মে মারমা ও সেনাবাহিনীর সোনা
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে কারাতে ইভেন্টের খেলা শুরু হয়েছে বান্দরবানের জেলা জিমন্যাশিয়ামে। আজ সকালে দু’টি স্বর্ণপদকের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারীদের একক কাতায় বান্দরবান জেলা ক্রীড়া সংস্থার নু মে মারমা সোনা, বাংলাদেশ আনসারের হুমায়রা আক্তার অন্তরা রৌপ্য এবং কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার এলিক মারমা ও সেনাবাহিনীর কারিমা খাতুন ব্রোঞ্জপদক জেতেন।

নারীদের দলগত কাতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সোনা, বাংলাদেশ আনসার রৌপ্য এবং বান্দরবান জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা ব্রোঞ্জপদক জেতে।

কারাতে দলগত কাতায় আনসারের সোনা
পুরুষ দলগত কাতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ আনসার (হোসেন খান সান, হাসান খান মুন ও সৈয়দ নুরুজ্জামান)। আরিফ হোসেন, মনোয়ার হোসেন বাপ্পী ও শাহেদ আহমেদের সেনাবাহিনী রৌপ্য এবং নারয়ণগঞ্জ (প্রশান্ত বিশ্বাস, বিজয় মুর্ম ও রাব্বি ইসলাম) এবং বান্দরবান (উথোরাই ম্রো, ভেংলন ম্রো ও মাংওয়াই ম্রো) ব্রোঞ্জপদক জেতে।

আরচ্যারীতে রাম কৃষ্ণ-নাসরিন-অসীম-রোকসানার সোনা জয়
রিকার্ভ পুরুষ একক ফাইনালে রাম কৃষ্ণ সাহা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী) এবং মো: তামিমুল ইসলাম (বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব) এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫-৫ সেট পয়েন্টে সমতা হয়। পরবর্তীতে ১টি করে তীর ছুড়ে রাম কৃষ্ণ সাহা এর স্কোর হয় ১০ এবং মো: তামিমুল ইসলাম এর স্কোর হয় ৯। শেষ তীরের ফলাফলের ভিত্তিতে রাম কৃষ্ণ সাহা ৬-৫ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে স্বর্ণপদক জেতেন এবং মো: তামিমুল ইসলাম (বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব) সিলভার মেডেল অর্জন করেন। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করেন মো: শাকিব মোল্লা (বাংলাদেশ আনসার)।

রিকার্ভ মহিলা একক ফাইনালে নাসরিন আক্তার (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুন (বাংলাদেশ আনসার) কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতেন এবং মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুন (বাংলাদেশ আনসার) সিলভার মেডেল অর্জন করেন। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করেন মেহেনাজ আক্তার মনিরা (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব)।

কম্পাউন্ড পুরুষ একক ফাইনালে অসীম কুমার দাস (বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব) ১৪৮-১৪১ স্কোরের ব্যবধানে নেওয়াজ আহমেদ রাকিব (বিজিবি) কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতেন এবং নেওয়াজ আহমেদ রাকিব (বিজিবি) সিলভার মেডেল অর্জন করেন। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করেন মো: আশিকুজ্জামান (বাংলাদেশ পুলিশ)।

কম্পাউন্ড মহিলা একক ফাইনালে রোকসানা আক্তার (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) ১৪৭-১৪১ স্কোরের ব্যবধানে পুস্পিতা জামান (বিকেএসপি) কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জয় লাভ করেন এবং পুস্পিতা জামান (বিকেএসপি) সিলভার মেডেল অর্জন করেন। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করেন বন্যা আক্তার (বাংলাদেশ আনসার)।

রিকার্ভ পুরুষ দলগত ফাইনালে বিকেএসপি ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশ পুলিশ কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতে এবং বাংলাদেশ পুলিশ সিলভার মেডেল অর্জন করে। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

রিকার্ভ মহিলা দলগত ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব ৫-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বিকেএসপি কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতেন এবং বিকেএসপি সিলভার মেডেল অর্জন করে। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব।

কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ফাইনালে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব ২২৬-২২১- স্কোরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আনসার কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতেন এবং বাংলাদেশ আনসার সিলভার মেডেল অর্জন করে। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করে বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব।

কম্পাউন্ড মহিলা দলগত ফাইনালে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব ২২৩-২২২ স্কোরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আনসার কে পরাজিত করে গোল্ড মেডেল জেতেন এবং বাংলাদেশ আনসার সিলভার মেডেল অর্জন করে। ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করে বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব।

গেমসের আরচ্যারী প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সভাপতি লে: জেনারেল মো: মইনুল ইসলাম (অব:), সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। 

আরচ্যারীর পদক তালিকা

দলের নাম              গোল্ড   সিলভার  ব্রোঞ্জ   মোট
ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) -
বাংলাদেশ পুলিশ আরচ্যারী ক্লাব
বাংলাদেশ আনসার
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী - -
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) - -
ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা     -     -     ১    

 
সাঁতারে দলগতভাবে নৌবাহিনী সেরা
নৌবাহিনীর অধিপত্য দিয়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস সাঁতার প্রতিযোগিতা। মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ডাইভিং, ওয়াটারপোলো ও সাঁতার মিলিয়ে ৪২ ইভেন্টের নিষ্পত্তি হয়। শীর্ষস্থানে থাকা নৌবাহিনী ৩৩ সোনা জিতেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেনাবাহিনীর অর্জন ৯ সোনা। বিকেএসপি ১ রূপা ও ৪ ব্রোঞ্জ নিয়ে দলগতভাবে তৃতীয় স্থান পেয়েছে। সাঁতারের শেষদিনে ১০ ইভেন্টের নিষ্পত্তি হয়। এদিন ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টে একমাত্র রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর কাজল মিয়া। এ নিয়ে বাংলাদেশ গেমস সাঁতারে ১১টি রেকর্ড হলো। ছেলেদের ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টে রেকর্ড গড়ে সোনা জয়ের পথে কাজল মিয়ার টাইমিং ছিল ২ মিনিট ১৩.৪৯ সেকেন্ড। আগের রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর আরেক সাঁতারু আরিফুল ইসলামের, ২০১৯ সালে ২ মিনিট ১৪.৭৪ সেকেন্ডে গড়া। রূপা জয়ের পথে পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গেছেন সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদও। তার টাইমিং ছিল ২ মিনিট ১৩.৮৬ সেকেন্ড। ব্রোঞ্জ জিতেছেন নৌবাহিনীর পলাশ চৌধুরী।
 
৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদ ৪ মিনিট ৪৮.৫৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন। নারীদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টে সোনা জিতেছেন নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার টুম্পা। এ জন্য তার সময় লেগেছে ৫ মিনিট ৪৯.১৬ সেকেন্ড। ছেলেদের ৪x১০০ মিটার মিডলে রিলে ইভেন্টে সোনা জয়ের পথে নূরে আলম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুন্নবী নাহিদ ও মাহফিজুর রহমান সাগরকে নিয়ে গড়া নৌবাহিনী দল সময় নিয়েছে ৪ মিনিট ০.৭৪ সেকেন্ড। 
 
নারীদের ৪x১০০ মিটার মিডলে রিলে ইভেন্টে সোনা জয়ের পথে যুথি আক্তার, মাহফুজা খাতুন শীলা, সোনিয়া খাতুন ও সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে গড়া নৌবাহিনী দল সময় নিয়েছে ৫ মিনিট ০.৯০ সেকেন্ড। 

২ মিনিট ৪০.৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে নারীদের ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টে সোনা জিতেছেন নৌবাহিনীর সোনিয়া খাতুন। নৌবাহিনীর মরিয়ম আক্তার ২ মিনিট ৪২.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন। ব্রোঞ্জ জয়ী সেনাবাহিনীর নাঈমা আক্তারের টাইমিং ২ মিনিট ৪৭.৭৬ সেকেন্ড।

নারীদের ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে নৌবাহিনীর মাহফুজা খাতুন শীলা ৩৫.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন। রুপা জয়ের পথে তার নৌবাহিনী সতীর্থ মরিয়ম আক্তার ৩৫.৯৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইরফানা খাতুন ব্রোঞ্জ জয়ের পথে সময় নেন ৪২.১১ সেকেন্ড।

ছেলেদের ৫০ মিটার ব্রেষ্টস্ট্রোকে সোনা জয়ের পথে নৌবাহিনীর আরিফুল ইসলাম সময় নিয়েছেন ৩০.০৭ সেকেন্ড। ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছে সেনাবাহিনী, রুপা জিতেছে নৌবাহিনী। ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

ভারোত্তোলনে আরোও ৬ রেকর্ড
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস ভারোত্তোলনে আরো ৬ রেকর্ড হয়েছে। নারী-পুরুষ দুই বিভাগে তিনটি করে মোট ৬ রেকর্ড হয় মঙ্গলবার। নারীদের ৫৫ কেজি ওজন বিভাগে সোনা জয়ের পথে বাংলাদেশ আনসারের ফুলপতি চাকমা ক্লিন এন্ড জার্কে ৮৪ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েন। স্ন্যাচে ৬৭ কেজি তোলেন তিনি। দুই বিভাগ মিলিয়ে ১৫১ কেজি তুলে সোনা জিতেছেন ফুলপতি। কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কুলসুম আক্তার স্ন্যাচে ৪৮ ও ক্লিন এন্ড জার্কে ৬০, মোট ১০৮ কেজি তুলে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। নারীদের ৫৯ কেজি ওজন বিভাগে বাংলাদেশ আনসারের ফাইমা আক্তার ময়না স্ন্যাচে ৬৬ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েন। ক্লিন এন্ড জার্কে ৭৫ কেজি মিলিয়ে মোট ১৪১ কেজি তুলে সোনা জিতেছেন ফাইমা আক্তার। 

ছেলেদের ৬৭ কেজি ওজন বিভাগে বাংলাদেশ আনসারের বাকি বিল্লাহ সোনা জয়ের পথে ক্লিন এন্ড জার্কে ১৪১ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েন। তার আগে স্ন্যাচে তিনি ১১৩ কেজি তোলেন। সবমিলিয়ে ২৫৪ কেজি তুলে সোনা জিতেছেন বাকি বিল্লাহ। 

ছেলেদের ৭৩ কেজি ওজন বিভাগে সেনাবাহিনীর হামিদুল ইসলাম স্ন্যাচে ১১৮ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েন। ক্লিন এন্ড জার্কে ১৪০ কেজি তোলেন তিনি। মোট ২৫৮ কেজি তুলে সোনা নিশ্চিত করেছেন ২০১০ সালের ঢাকা এসএ গেমসে দেশকে সোনা এনে দেয়া এ ভারোত্তোলক।

ফুটবলের ফাইনালে সেনাবাহিনী ও সিলেট
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস পুরুষ ফুটবলে দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩-১ গোলে বিকেএসপি কে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। সেনাবাহিনীর হয়ে কাওসার, মানিক ও সঞ্জয় একটি করে গোল করেন। বিকেএসপির তৌহিদুল একটি গোল শোধ দেন। দিনের অন্য সেমিফাইনালে সিলেট ৩-১ গোলে জিতেছে সাতক্ষীরার বিপক্ষে। বিজয়ী দলের জিল্লুর,রেজাউল ও নাফিস ইকবাল একটি করে গোল করেন। সাতক্ষীরার হয়ে ইয়াসিন আলী একটি গোল শোধ দেন। আগামীকাল বুধবার বিকেলে মুখোমুখি হবে সেনাবাহিনী ও সিলেট। এর আগে দুপুরে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে লড়বে বিকেএসপি ও সাতক্ষীরা।