ফেডারেশন-জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম সচিব কাজী আনিসুর রহমান সম্প্রতি ইন্তেকাল করেছেন। তার স্মরণে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করেন ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

১৯৭২ সালে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (তৎকালীন বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা) সচিবের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে তিনি এই দায়িত্ব নেন এবং কাজ করেছেন মাত্র এক টাকা সম্মানীতে। তিনি কয়েক বছর দায়িত্ব পালনের পর থেকে অবশ্য ওই পদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার ছিল নিবিড় সম্পর্ক। ঐতিহ্যবাহী আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন আনিসুর রহমান। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। তাই তো তার স্মরণসভায় এসেছেন ক্রীড়াঙ্গনের প্রত্যেক ক্ষেত্রের ব্যক্তিরাই।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক পরিচালক ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘আনিস ভাই এত উঁচু মাপের ব্যক্তিত্ব। তার কাজের পরিধি এতই বিস্তৃত ছিল যে সংক্ষেপে বলা যাবে না।’ আনিসুর রহমানের একমাত্র ছেলে আশফাকুর রহমান বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে আমরা একটি গ্রন্থ প্রকাশের পরিকল্পনা করেছি। ইতোমধ্যে লেখা সংগ্রহ চলছে।’  প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল দলের সাবেক দল সাইফ স্পোর্টিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরি তার খালুকে স্মরণ করেছেন।

সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক ছাড়াও বর্ষীয়ান এবং সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান, ইকরামউজ্জামান, দুলাল মাহমুদরাও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম সচিবকে স্মরণ করেছেন। এই স্মরণসভা আয়োজন করেছেন কাজী আনিসের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও হকি ফেডারেশনের সদস্য ইউসুফ আলী। হকি ক্লাব শিশু কিশোর সংঘ থেকে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও আনিসের ক্লাব আজাদ স্পোর্টিং এমন আয়োজন করতে পারেনি।

এজেড/এএইচএস