টোকিও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নে বুঁদ আরচ্যার রোমান সানা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত অনুশীলন করে যাচ্ছেন এই আরচ্যার। রোজার মধ্যেও টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ স্টেডিয়ামে চলছে অনুশীলন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অনুশীলনেই ব্যস্ত ছিলেন সুইজারল্যান্ডগামী আরচ্যাররা। 

এবারের ঈদটি অন্যবারের তুলনায় একটু ব্যতিক্রমই হয়েছে রোমানদের, ‘ক্রীড়াঙ্গনে আসার পর দেশের বাইরে অনেক ঈদ করেছি। এবারের ঈদটি দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়েই হবে।’ 

মায়ের খুব ভক্ত রোমান। আরচ্যারির জন্য মা ও পরিবার ছাড়া ঈদ করতে হচ্ছে এই আরচ্যারের। আরচ্যার পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির বিষয়টি মানিয়ে নিয়েছেন তিনি, ‘আরচ্যারি এখন আমাদের আরেকটা পরিবার। ঈদের দিন মায়ের রান্না, আদর মিস করি। কিন্তু আমরা দেশের জন্য লড়ি। দেশের স্বার্থে নিজ পরিবারের একটু দূরে থাকলেও আরচ্যারি আরেকটি পরিবার।’ 

আরচ্যারি ক্যাম্পে ১৫ জন রয়েছেন এখন। সবাই একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েছেন। অনুশীলন না হলেও ক্যাম্পেই সময় কাটালেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় নেই। ঈদের পরের দিনই সুইজারল্যান্ড যাবার কথা। ফলে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই ঈদের দিনের অনেক সময় চলে গেল।’

জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে টোকিও অলিম্পিক। সর্বশেষ জাতীয় আরচ্যারি ও বাংলাদেশ গেমসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি রোমান। জুলাইয়ের আগে দুইটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। দু’টিতেই নিজের স্কোরের উন্নতি করতে চান রোমান, ‘অলিম্পিকের আগে এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার সেরা স্কোরটাই এই দুই টুর্নামেন্টে করতে চাই। আশা করি সেটা করতে সক্ষম হব।’ 

সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরেই আগামী মাসে ফ্রান্সের প্যারিসে আরেকটি চ্যাম্পিয়নশিপে যাবে আরচ্যাররা। প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাংলাদেশের আরচ্যারদের কোটা প্লেসের সুযোগ থাকবে। 

এজেড/এটি