নিজ দেশে অলিম্পিক চান না ৮০ ভাগ জাপানি
করোনাভাইরাসে আর সব দেশের মতো জাপানও বাজেভাবেই পর্যুদস্ত। এর মধ্যেও ২০২০ অলিম্পিক আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী দেশটির সরকার। তবে দেশের সরকারের এ সিদ্ধান্তে নারাজ দেশটির জনগন। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ চাননা এই পরিস্থিতিতে জাপানে অলিম্পিক আয়োজন হোক।
দেশটিতে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিক আয়োজনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছেন টোকিও সাবেক গভর্নর পদপ্রার্থী ও আইনজীবী কেনজি আটসোনোমিয়া। তার স্লোগান, ‘বন্ধ করা হোক টোকিও অলিম্পিক্স’। এখন পর্যন্ত এর পক্ষে সই পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫১ হাজার মানুষের। এখানেই শেষ নয়, কেনজির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত সেই হলফনামা পৌঁছে গিয়েছে অলিম্পিক আয়োজকদের হাতেও। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কেনজির এই চেষ্টা যে সফলতার মুখ দেখছে, তারই একটা প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি দেশটির একটি টেলিভিশন চ্যানেলের করা এক জনমত জরিপে। দেশটির শতকরা ৪৩ শতাংশ মানুষ রায় দিয়েছেন টোকিও অলিম্পিক বাতিলের পক্ষে। আর ৪০ ভাগ মানুষের চাওয়া চলমান পরিস্থিতিতে নয়, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজন করা হোক, জানিয়েছে টেলিভিশন চ্যানেলটি। আর মাত্র ১৭ শতাংশের মত পড়েছে চলমান পরিস্থিতিতেও অলিম্পিক আয়োজনের পক্ষে। যার মানে দাঁড়াচ্ছে বিপক্ষে মত দিয়েছেন প্রায় ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ।
তবে বিষয়টা যে শুধুমাত্র দেশটির মানুষের ভেতরই সীমাবদ্ধ, বিষয়টা তেমন নয় মোটেও। ইতোমধ্যেই রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামসদের মতো তারকারা চলমান পরিস্থিতিতে অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধিতা করে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রজার ফেদেরারও জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক আয়োজন হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রমবর্ধমান বিরোধিতা, ও তারকাদের নাম প্রত্যাহারের মুখে শেষমেশ আদৌ তা আয়োজন হবে কিনা, তা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।
এনইউ