ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নিবেদন ও ত্যাগের পুরস্কার পাবেন সাংবাদিকরা
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের ব্যাপারে অনেকটা এগিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আজ (সোমবার) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এই সংক্রান্ত একটি সভা হয়। সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘পুরস্কারের নীতিমালা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করেছি। আজকের আলোচনায় অনেক পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ উঠে এসেছে। আশা করি খুব দ্রুতই নীতিমালা চূড়ান্ত হবে।’
নীতিমালা চূড়ান্ত হয়ে গেলে চলতি বছরেই শেখ কামালের জন্মদিনে (৫ আগস্ট) এই পুরস্কার প্রদানের ইচ্ছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর, ‘নীতিমালা হয়ে গেলে আমরা আবেদন আহ্বান করব। আবেদনগুলো যাচাই বাছাই কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ করে। মনোনয়ন কমিটি বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত করবে। আমাদের ইচ্ছে এই বছর থেকেই পুরস্কার প্রদানের।’
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ, আজীবন সম্মাননা, ফেডারেশন অ্যাসোসিয়েশন, ক্রীড়া সংস্থা এই কয়েকটি ক্যাটাগরির সঙ্গে আজ ক্রীড়া সাংবাদিক ক্যাটাগরিও যুক্ত হয়েছে। আজকের সভায় অনেক সিনিয়র সংগঠক ক্রীড়া সাংবাদিকদের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নিবেদন ও ত্যাগের বিষয়টিও তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিকদের পুরস্কারের আওতাধীন করেছে।
ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার প্রদানে সর্বশেষ বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনা হবে। নীতিমালায় চারজন ক্রীড়াবিদ ও একজন উদীয়মান ক্রীড়াবিদকে পুরস্কৃত করার কথা থাকলেও এতে পরিবর্তন এসেছে আজকের সভায়। ক্রীড়াবিদ তিনজন আর উদীয়মান ক্রীড়াবিদ দুজন পুরস্কৃত হবেন। প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রত্যেকে আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি সনদ পাবেন। আর্থিক পুরস্কাররের অঙ্ক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের চেয়ে কমই থাকবে।
বিজ্ঞাপন
আশির দশকে বছর পাঁচেকের মতো এই পুরস্কারের প্রচলন ছিল। ১৯৯১ সালের পর আর এনএসসির পুরস্কার প্রদান হয়নি। বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পুনরায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সন্তান ও বিশিষ্ট ক্রীড়া অনুরাগী, ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি।
এজেড/টিআইএস