আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেন ক্রীড়াবিদরা। তাদের দেখভাল করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ে বাজেট বাড়লেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট এবার কিছুটা কমেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১১২১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ২৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৮৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। 

২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ২২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতের পরিমাণ ছিল ৮৯৭ কোটি ৫০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট এর পরিমান ছিল ১১২৭ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা কম। 

অর্থমন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার মানোন্নয়নে নীতি কৌশল, প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুলসহ ক্রীড়া অবকাঠানো নির্মাণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এরই অংশ হিসেবে উপজেলাগুলোতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠানো নির্মাণ ও উন্নয়নের ১৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যুব কার্যক্রমের জন্য গত বছর বাজেট একটু বেশি ছিল। সেই কার্যক্রম এবার নেই, তাই বাজেটে গতবারের চেয়ে বরাদ্দ কম। তবে অঙ্কে কম হলেও এবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনেক খাতে বাজেট বেড়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এজেড/এটি/এমএইচ