জাতীয় দলের ভবিষ্যত ভাবনায় বেশ ভালোভাবে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাঈম শেখ। তবে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ দুজনই। জাতীয় দল হয়ে ক্লাব ক্রিকেট, কোথায় সুবিধা করতে পারছেন না তারা। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলছেন দুজন, ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না এখানেও। আজ (বৃহস্পতিবার) শান্ত আউট হন ১১ রান করে। নাঈম ফেরেন ২৩ রানে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে জাতীয় দলে ডাক পান শান্ত। ২০১৭ সালে টাইগার জার্সিতে অভিষেক, চার বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দলে থিতু হতে পারেননি। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পাওয়ার পর জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে খেলা ৪ ইনিংসেই ব্যর্থ শান্ত। আজ ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ফিরেছেন ১১ রান করে। 

একই অবস্থা নাঈম শেখেরও। গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শতক হাঁকানোর পর ব্যাট হাতে ধারাবাহিক নন তিনিও। জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে ১১ ইনিংস থেকে ১৮৯ রান করেন তিনি। নে কোনও ফিফটি। আজ রানের দেখা পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিরেছেন ২১ বলে ২৩ রান করে।

ডিপিএলে বরাবরের মতো এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়েছে আবাহনী। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ে শুরু। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে খানিক বিপত্তিতে পড়েছে আবাহনী। ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ৫০ মিনিট পর খেলা শুরু হলে এক ওভার কমে যায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ১৯ ওভারের খেলায় স্কোর বোর্ডে ১৩৫ রানের সংগ্রহ জমা করেছে মুশফিকুর রহিমের দল।

নাঈম শেখ আর মুনিম শাহরিয়ারের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ২৫ রান। যার ২৩ রানই আসে নাঈমের ব্যাট থেকে।তবে সেই ইনিংসটি টেনে নিতে পারেননি তিনি। আব্দুর রশিদের বলে ফিরেছেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। তিনে ব্যাট করতে নেমে শান্ত ফেরেন ১১ করে। মুনিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।

এদিন ব্যর্থ মুশফিকের ব্যাটও। ৬ রানে থাকা মিস্টার ডিপেন্ডবলকে বোল্ড করেন বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্পিনার রাকিবুল হাসান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যট থেকেও রান আসেনি। মোহাইমিনুল খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ব্যক্তিগত ৮ রান করে। 

১৩ ওভার শেষে ৭২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আফিফ হসেন ও মোহাম্মমদ সাইফউদ্দিন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬১ রান।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন। এতে বার্তা দিলেন তিনি কেন উপরের দিকে ব্যাট করতে চান। ২১০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। অন্যপ্রান্তে ধরে খেলে আফিফ শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ২৯ বলের ইনিংসে ২টি চার মারেন তিনি। এতে নির্ধারিত ১৯ ওভারে ১৩৫ রানে থামে আবাহনীর ইনিংস। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে মোহাইমিনুল ও রাকিবুল ২টি করে উইকেট নেন।

টিআইএস/এটি