যে অভিমানে ক্রীড়াঙ্গন থেকে সরে যাচ্ছেন লিনু
অনেকটা নিরবেই হয়ে গেল বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের নির্বাচন। নতুন কমিটির চমক বলতে একটাই সাবেক তারকা ক্রীড়াবিদ ও সাইক্লিষ্ট জোবেরা রহমান লিনুর না থাকা। আগের অ্যাডহক কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন সাবেক এই সাইক্লিস্ট ।
সাইক্লিংয়ে কেন নেই বিষয়টি জানতে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেছিলেন লিনুর সঙ্গে। এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে শুনে বিস্মিত হন লিনু, ‘তাই সাইক্লিংয়ের কমিটি ও নির্বাচন হয়ে গেছে! আমাকে তো কেউ কিছুই জানাল না। কোর্টের জটিলতা সমাধানের জন্য আমিও সম্পৃক্ত ছিলাম। নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন হলো, মনোনয়নপত্র তুলল, জমা দিল আমাকে কিছুই জানাল না কেউ’।
বিজ্ঞাপন
তার দাবি বর্তমান কমিটির কেউ যোগাযোগ করেনি তার সঙ্গে। সাইক্লিংয়ে থাকতে চাইলে তিনি কেন কমিটির অন্যদের সঙ্গে কেন যোগাযোগ রাখেননি এই প্রশ্নে উত্তরে লিনু বলেন, ‘আমার বাসা উত্তরা। কাজ না থাকলে বা প্রয়োজন না হলে তো আর জ্যাম, করোনার মধ্যে স্টেডিয়াম বা ওই এলাকায় শুধু শুধু যাওয়া যায় না। কয়েকদিন আগে সেক্রেটারিকে ফোন করেও পাইনি।’
লিনুর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহের উল আলম চৌধুরী ( স্বপন) বলেন, ‘কোর্টের বিষয়টি যখন প্রায় মীমাংসিত পর্যায়ে তখনই আমি লিনু আপাকে বলেছি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। নির্বাচনের প্রজ্ঞাপনের পরেও তাকে কয়েকবার ফোন করেছি উনি রিসিভ করেননি। তিনি নির্বাচনে বা কমিটিতে থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করলেই অবশ্যই তাকে নিয়ে প্যানেল করা হতো এবং সেটা সাইক্লিংয়ের জন্য ভালো হতো।’
বিজ্ঞাপন
জোবেরা রহমান লিনু ১৬ বার টেবিল টেনিস জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ইউনিসেফের ক্রীড়া দূতও হয়েছিলেন। খেলা ছাড়ার পর নিজের প্রিয় ডিসিপ্লিন টেবিল টেনিসে সাংগঠনিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। টেবিল টেনিসে সহ-সভাপতির পর অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে হেরেছেন। টেবিল টেনিসের গত নির্বাচনে একটি প্যানলেই হয়েছে। একক প্যানেলে তাকে সহ-সভাপতি পদে রাখা হলেও সহ-সভাপতির ক্রমিক নম্বরের ইগোতে তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। টেবিল টেনিস থেকে সরার পর সাইক্লিংয়ের অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা পান লিনু। সেই সাইক্লিং থেকেও বাদ পড়ে গেলেন। ফলে নিজেকে আর ক্রীড়াঙ্গনে সেভাবে দেখতে পাচ্ছেন না এই তারকা, ‘ক্রীড়াঙ্গনে এখন অনেক রাজনীতি। আমি এগুলোর মধ্যে থাকতে পারব না। ধীরে ধীরে সরে যেতে হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনে হয়তো আর থাকা হবে না’।
অনেক নারী ক্রীড়াবিদ স্ব স্ব খেলার সাথে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাথেই জড়িত থাকেন। নিজেকে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়ানোর ইচ্ছে নেই লিনুর,‘ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যাপারে আমার তেমন আগ্রহ নেই।’ ক্রীড়া সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার মধ্যে লিনু শুধু এখন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অ্যাথলেট কমিশনের সদস্য রয়েছেন।
এজেড/এটি