ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্লু প্রাপ্তদের একাংশ/ফাইল ছবি

ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাসহ দেশ ও জাতির অনেক ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই প্রতিষ্ঠানের শুধু শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে নয়, ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে অসামান্য অবদান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ক্রীড়া বিষয়ক নানা কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্বে ক্রীড়াক্ষেত্রে ডাকসুর ভূমিকা নিয়ে সাবেক ক্রীড়া সম্পাদকদের বক্তব্য তুলে এনেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের।।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননাসূচক ব্লু উপহার দেয়। সেই ব্লু কবে থেকে প্রদান শুরু হয়েছে। এর সঠিক ইতিহাস ও তথ্য পাওয়া গেল না। শারীরিক শিক্ষা অফিসে ব্লুর তালিকা রয়েছে ১৯৬৩ সাল থেকে।

১৯৬৩ সালে ফুটবলে ব্লু পাওয়া বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান নিশ্চিত হয়েই বলেন, ‘অবশ্যই ১৯৬৩ থেকে এর আগেও ব্লু দেয়া হয়েছে। আমার বন্ধু মঞ্জুর হাসান মিন্টুই আমার আগে পেয়েছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক শওকতুর রহমান চিনুও কামরুজ্জামানের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন, ‘ষাটের দশকের আগে থেকেই ব্লু প্রদান প্রথা শুরু হয়েছে’। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইসউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি ব্লুও পেয়েছিলেন।

ব্লু সম্মাননার সনদ/ঢাকা পোস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও শারীরিক শিক্ষা অফিসের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু ১৯২৫। ১৯৪১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কেন্দ্র পরিচালক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ৮০ বছর হলেও মাত্র ৮ জন পরিচালক পেয়েছে এই কেন্দ্র। বিগত পরিচালকরা ব্লুর ইতিহাস ও তালিকার ব্যাপারে অনেকটা উদাসীনই ছিলেন। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুর সঠিক ও নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন হয়নি।

বর্তমান পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাজাহান আলী ব্লু পদক সম্পর্কে বলেন, ‘ব্লু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এই তালিকার ব্যাপারে বিভিন্ন রেকর্ড ও কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করে একটি তালিকা তৈরি করেছি।’ সেই তালিকায় ১৯৬৩ থেকে ২০১০-১১ সাল থাকলেও মাঝে ১৯৮১-৮৫ পর্যন্ত বাদ রয়েছে। তালিকায় নেই বিশেষ ক্যাটাগরিতে ব্লু পাওয়া এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিমের নামও। ২০১৪ সালে সর্বশেষ ২০০০-২০১১ সালের জন্য ব্লু প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। সেশনজটের মতো ব্লু জটও রয়েছে।

ব্লু পদকের গোড়ার দিকের এক অনুষ্ঠান/ফাইল ছবি

শারীরিক শিক্ষা অফিস এই তালিকা করলেও এই প্রতিবেদকেরই প্রথম দৃষ্টিগোচর হয় ১৯৮১-৮৫ সাল বাদ পড়েছে এবং স্বাধীনতাত্তোর ডাকসুর দ্বিতীয় ক্রীড়া সম্পাদক বাদল রায়, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, হকির সাজেদ এএ আদেল, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নুর মতো কিংবদন্তি ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব যারা ব্লু পেয়েছেন তাদের নামই নেই তালিকায়। প্রতিবেদকের কাছ থেকে বাদল রায়, লিপুদের ব্লু পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানের ছবি দেখার পর শারীরিক শিক্ষা বিভাগ আবার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ নিচ্ছে।

বাদল রায় শুধু ক্রীড়াঙ্গন নন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তুমুল জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত ফুটবলসংশ্লিষ্ট ৪ জনের কারো চোখেও কখনো এটি বাধল না তালিকায় বাদল রায়ের নাম নেই ! সেই চারজন আবার নিজেরাই ব্লু প্রাপ্ত।

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালকদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত। জীবিতদের মধ্যে শওকতুর রহমান চিনুই এক দশকের বেশি সময় পরিচালক ছিলেন (ভারপ্রাপ্ত সহ)। তিনি অপরিপূর্ণ তালিকা ও বিশেষ করে প্রয়াত বাদল রায়, লিপুর নাম না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলেই এটি দুঃখজনক। বাদল রায়, লিপু ক্রীড়াঙ্গন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি। তারা ব্লু প্রাপ্ত হয়েও তালিকায় না থাকা দুঃখজনক। আমি একটি তালিকা করেছিলাম। সেখানে তাদের নাম ছিল।’ একজন পরিচালক যান আরেকজন আসেন, হয় না পরিপূর্ণ তালিকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু ক্রীড়াঙ্গন ও শিক্ষাঙ্গনে বাড়তি এক মর্যাদার প্রতীক। অনেক ক্রীড়াবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও ব্লু পাননি। ব্লু পাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে (অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি না হয়েও অধিভুক্ত কলেজগুলোতে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলে অসামান্য অবদানের জন্য ব্লু পেয়েছেন) । অনেক তারকা ফুটবলার, ক্রিকেটার, হকি খেলোয়াড় স্নাতক সম্পন্ন না করায় ক্রীড়াক্ষেত্রে অসংখ্য অবদান রাখা সত্ত্বেও এই পুরস্কার পাননি।

ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান না রাখলেও মুসা ইব্রাহীমকেও এ সম্মাননা দেওয়া হয়

 

আবার অনেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পাশাপাশি জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধূলায় অবদান রেখেও ব্লু পাননি। এমন একজন হকির তারকা ফয়সাল আহসান উল্লাহ, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হকি দলের নিয়মিত অধিনায়ক ছিলাম আমি। অন্তত চারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হকি দলে খেলেছি। আমি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলাম। এই রাজনৈতিক কারণে আমার নাম ব্লু তালিকা থেকে কেটে দেয়া হয়েছে ।‘

২০১৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্লু প্রদান অনুষ্ঠান/ফাইল ছবি

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু প্রদানের ক্ষেত্রেও ছিল রাজনীতি-স্বজনপ্রীতি। ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মানিক সেটাই মনে করেন।

মানিকের বক্তব্যের সত্যতা অনেকটাই স্বীকার করলেন সাবেক পরিচালক শওকতুর রহমান, ‘ব্লু প্রদানে একটি বিশেষ কমিটি থাকে। সেই কমিটিতে একজন ভেটো দিলেও ব্লু প্রদানে নাম স্বীকৃতি হয় না। অনেক সময় ভেটো যেমন এসেছে আবার অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ সুপারিশও এসেছে। নানা পারিপার্শ্বিকতায় ও সীমাবদ্ধতায় সেগুলো এড়ানো ও উপেক্ষা যেমন করা যায়নি।’

ব্লু প্রদানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিসিপ্লিনারি ইস্যু। অনেকে একাডেমিক,খেলার নানা শর্ত পুরণ করলেও ডিসিপ্লিনারি কারণে ব্লু প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক খেলায় ওয়াক আউট বা বর্জন করায় ডিসিপ্লিনারী ইস্যুর মধ্যে পড়ে যান।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের মতো ব্লু প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হচ্ছে সর্বশেষ দুই দশক থেকে। আবেদন করে ব্লু নিতে একদমই অনীহা সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এহসানুল হক সিজানের, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন করেছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি পাশাপাশি পড়াশোনাও সম্পন্ন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আমাকে এমনিতেই সম্মান দিতে পারে। আবেদন করে সম্মানিত হওয়ার কোন আগ্রহই আমার নেই।’

ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মানিক অনুজ সেজানের সঙ্গে সম্পুর্ন একমত , ‘আমাদের সময় তো স্পোর্টস বোর্ড সুপারিশ করতো। সিন্ডিকেট অনুমোদন দিত। কোনো আবেদন ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করে কেন ব্লু নিতে হবে।’

আরেক সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার গোলাম নওশের প্রিন্স ব্লুর জন্য মনোনীত হয়েও প্রত্যাখান করেছেন। ব্লেজার ও সনদ গ্রহণ করেননি। প্রত্যাখ্যানের কারণ সম্পর্কে সুদূর আমেরিকা থেকে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। প্রিমিয়ারে খেলা ক্রিকেটারের বদলে দ্বিতীয় বিভাগের একজনকে একাদশে খেলানো হয়েছিল। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করেছি৷ বিষয় অনেক দিন পর্যন্ত ও অনেক গভীরে গিয়েছিল। আমাকে ডেকে এক সভায় একজন শিক্ষক এমনও বলেছিলেন আমার এই দৃঢ় অবস্থানের জন্য আমার নাম ব্লু থেকে শেষ মুহূর্তে বাদও পড়তে পারে। আমি তখনই নির্দ্বিধায় বলেছিলাম, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই সেই প্রতিবাদ করেছিলাম এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই সেই অধিকার রয়েছে। এতে যদি আমাকে ব্লু না দেয়া হয় আমার বিন্দুমাত্র কোনো আক্ষেপ থাকবে না আর দেয়া হলেও আমি সেই ব্লু প্রত্যাখ্যান করব।’

ডাকসুকে যেমন বলা হতো দ্বিতীয় পার্লামেন্ট বা সংসদ। অনেক ক্রীড়াবিদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু ঠিক তেমনই দ্বিতীয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার! জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে সামান্য আর্থিক সম্মানী থাকলেও ব্লুতে শুধু একটি ব্লেজার ও সার্টিফিকেট। প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিশেষ সম্মানই যে অমুল্য সম্পদ ব্লু প্রাপ্তদের কাছে! সেই অমুল্য সম্পদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের কাছে না থাকা শুধু ব্লু ধারীদের কাছে নয় পুরো দেশবাসীর কাছেই যেন হতাশার এক দীর্ঘশ্বাস।

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ও প্রতিবেদকের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে ব্লু প্রাপ্তদের তালিকা-

ক্রিকেট : রইসউদ্দিন আহমেদ, আহসান নিজাম, শামীম কবির, শফিকুল হক হীরা, এসএম ফারুক, আনিস, ইনামুল হক, নওশের হাসান, এনায়েত হোসেন সিরাজ, রকিবুল হাসান, ওলিউল ইসলাম,  ইউসুফ রেজাউর রহমান, মঈনুল হক, আহমেদ ইকবাল বাচ্চু, শাকিল কাসেম, আহমেদ সিদ্দিকী, রফিকুল আলম, মজিবুল হক মন্টু, ওয়াহিদুল গণি, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, গোলাম নওশের প্রিন্স, ফারুক আহমেদ, রওনক ইসলাম টুটুল, সেলিম শাহেদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কাজী জিয়াউর রশীদ, মোঃ মোস্তাদির, দেবাশীষ কুমার বর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শাহরিয়ার নাফিস আহমেদ, জহুরুল ইসলাম অমি।

ফুটবল : মনজুর হাসান মিন্টু, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, হাফিজুদ্দীন আহমেদ, মকবুল হাসান, তোফাজ্জেল হোসেন,  আবদুল হক, নুরুজ্জামান, খায়রুল আনোয়ার (পেয়ারু), নওশেরুজ্জামান, মোশাররফ আহমেদ চৌধুরী, খুরশিদ বাবুল, মোস্তফা মুকুল, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, জাকির হোসেন বাদল,  আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, বাদল রায়, শফিকুল ইসলাম মানিক, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ছাঈদ হাসান কানন, কায়সার হামিদ, সত্যজিৎ দাশ রুপু, আবু ফয়সাল আহমেদ, নিজাম মজুমদার, জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু, এস এম জাকারিয়া, মাসুদ রানা, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মনোয়ার হোসেন, জালাল উদ্দিন, ফিরোজ মাহমুদ টিটু, শাহানুর রহমান।

অ্যাথলেটিকস : আলতাফ হোসেন, এবি নায়ীম, জাহাঙ্গীর ফয়েজ, ফকরুদ্দিন, ওবায়দুর রহমান, কাজী আলমগীর, বেগম সুলতানা আহমেদ,  লিয়াকত হাসান, সাইদুর রব, তোফাজ্জল হোসেন, ফরহাদ জেসমিন লিটি, হাসান শাহরিয়ার, হাবিবুর রহমান, শরিফুল আলম, শাহাদাৎ হোসাইন, রাসেল মিয়া, রকিব দোজা আকন্দ।

বাস্কেটবল : মাসুদুর রহমান,তারিক ফাতেমী, আশরাফ আলী, নওশের হাসান,  আরশাদুল হক, কামরুল হাসান, অগাস্টিন গোমেজ টনি, তাহেরুজ্জামিল জিল্লু, কবির আহমেদ, অরুণোপল সরকার, আহমেদ পারভেজ শামসুদ্দিন, কামরুল আহসান, ওয়াসিফ আলী, আলী ইমরান, ইভান্চ রোজারিও, বিপ্লব বড়ুয়া, এমদাদুল হক।

ভলিবল : আবদুল তৌহিদ, মোস্তাফিজ মিন্টু, কাজী সরওয়ার, আবু সায়ীদ, মোফাজ্জল, খায়রুল কানু, আহমেদ জাহাঙ্গীর, ফজলে রাব্বি বাবুল, জেসমিন খান, মাহমুদা খান।

হকি : শামসুল হক , আবদুল মজিদ, ইব্রাহিম সাবের, আবদুস সাদেক, মো মহসীন, শামসুল বারী, সাব্বির ইউসুফ, নুরুল ইসলাম, হোসাইন ইমাম চৌধুরী, আশিকুল্লাহ কায়েস, মাশুকুল্লাহ কায়েস,  সাজেদ আদেল, খাজা মানজের, হাবিবুর রহমান, জামিল পারভেজ লুলু, বরকতউল্লাহ চপল, খাজা রহমতউল্লাহ, টুটুল কুমার নাগ, আলমগীর আলম, খুরশিদ আলম, তুষার কান্তি হাওলাদার, আশিকুজ্জামান, মওদুদুর রহমান শুভ, তাবিব ই নুর, হেদায়েতুল ইসলাম, রাহুল কান্তি রায়, তৌফিকুল ইসলাম, আলী ভুইয়া, আশিকুর রহমান চৌধুরী।

ব্যাডমিন্টন : মাসুদ আহমেদ, মাহবুবুর রব, এলিনা বেগম, আফসানা ফেরদৌস, রুজমিলা হক, রইছ উদ্দিন।

টেবিল টেনিস : জসিমউদদীন, কিসলু, মাহবুব বিল্লাহ, গৌতম কুমার দাস, ফারহানা পারভীন টুম্পা, মৌমিতা আলম।

হ্যান্ডবল : আজাদ রহমান, আশরাফ মাহমুদ দেওয়ান, মোস্তফা জাহাঙ্গীর, রাশিদা আফজুলুন নেছা, মীর আসিবুল হাসান, ফারজানা ভুইয়া, সেলিনা আক্তার, শামীমা রিফাত, নুসরাত শারমিন, সায়মা মাহমুদা, আশরাফুন নাহার ডায়না, তাসনুভা হক।

সাঁতার : মাহবুবর রহমান, নিবেদিতা দাস, বিষ্ণুপদ ঘোষ, আবদুল হালিম।

টেনিস : সেলিম চৌধুরী, ইফতিকুর আহমেদ, আতাউর রহমান, আজিজুল্লাহ মনি, শিবলি আহমেদ, কামরুদ্দীন আহমেদ ।

দাবা : জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার।

রেসলিং : ফারুক আহমেদ।

জিমনাস্টিকস : আহমেদুর রহমান বাবলু ।

বক্সিং : আবদুল হালিম।

কারাতে : এস এম রহমতুল্লাহ।

বি.দ্র. -ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান না রাখলেও এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীমকে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্লু সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এজেড/এটি/এনইউ