কাবাডিতে ৩৬ হাজার খেলোয়াড়ের ডাটাবেজ
তথ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো উদাসীন বরাবরই। বিশেষ করে বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক ও স্কুল পর্যায়ের খেলা তথ্য সংগ্রহে রাখে না অধিকাংশ ফেডারেশন। দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি ফেডারেশন সেই বৃত্ত থেকে বের হয়েছে।
আইজিপি কাপ উপলক্ষ্যে পল্টনস্থ কাবাডি স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘দেশের ৩৬ হাজার কাবাডি খেলোয়াড়ের ডাটাবেজ আমাদের হাতে রয়েছে। কাবাডিতে বাংলাদেশের উন্নতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সবদিক থেকে আমরা কাজ করছি।’ ২০১৬ সাল থেকে কাবাডি ফেডারেশন এই ডাটাবেজের কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
২৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে আইজিপি কাপ জাতীয় যুব কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের বালক ও বালিকা বিভাগের চূড়ান্ত পর্ব। ২ জানুয়ারি শেষ হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের খেলাগুলো ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা-জেলা পর্যায় শেষে ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। বালক বিভাগে ৫৮ ও বালিকা বিভাগে ৫১ জেলা এ পর্বে অংশগ্রহণ করছে। দলগুলোকে ৮ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। দুই বিভাগে আট অঞ্চলের শীর্ষ দুটি করে দল শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক গাজী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গন ঝিমিয়ে পড়েছিল। জড়তা কাটাতে আমরা আইজিপি কাপ জাতীয় যুব কাবাডি জমকালো ভাবে আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে এশিয়ান গেমসে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস উন্নতির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদের মানোন্নয়নে ভারত থেকে দুজন কাবাডি বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। নারী ও পুরুষ দুই দলকে প্রস্তুতির জন্য ভারতে পাঠানো হবে। সেখানে অনুশীলনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাদেশিক দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল।’
আজ শুক্রবার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের লোগো উন্মোচিত হল। এসময় প্রতিযোগিতার নানা তথ্য তুলে ধরেন কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-১ ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মো. মোজাম্মেল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগ।
এজেড/এমএইচ