গত বছর মার্চের শেষে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি। সেই আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও কাবাডি ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু কাপ আয়োজন করতে চায়, ‘’আমরা এবারও টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। এটা সম্পুর্ন কাবাডি ফেডারেশনের অর্থায়নে হবে।’ 

করোনাকালে আগের টুর্নামেন্টটি ছোট পরিসরে হলেও এবার বেশ জমকালো আয়োজনে হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাপ কাবাডি। ইতোমধ্যে পাকিস্তান, পোল্যান্ড, কেনিয়া, মিসরসহ ১৫ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কাবাডি ফেডারেশন। 

গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দলকে সংবর্ধনা দেয়ার পরিকল্পনা ফেডারেশন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের কাবাডির জন্য গৌরব। আমরা তাদের সংবর্ধনা দিতে চাই। সামনে আমরা কাবাডির উপর একটি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার করব। সেই সেমিনারে কাবাডি সংশ্লিষ্ট সবাই থাকবে। সেই অনুষ্ঠানে দলকে সংবর্ধনা দেয়া হতে পারে।’ 

এ বছর চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। সেখানে হারানো রুপা পুনরুদ্ধারের আশা কাবাডির সাধারন সম্পাদকের। গেল বছর ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল যুব কাবাডির বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে যায়। এ বছর আবারও এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা। আয়োজক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আর এপ্রিলের পর ছয়টি দল নিয়ে ভারতের প্রো-কাবাডির মতো বাংলাদেশেও ফ্র্যাাঞ্চাইজি লিগ হবে বলে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান।

জাতীয় যুব কাবাডির মতো দারুণ সাড়া জাগানো এ প্রতিযোগিতা থেকে ওঠে এসেছে অনেক সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদ। তাদের নিয়েই ভবিষ্যতে ভাল কিছু করার প্রত্যাশা ফেডারেশন কর্মকর্তারা। এবারের প্রতিযোগিতা থেকে ভালমানের খেলোয়াড়দের বেছে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান হাবিবুর রহমান, ‘নতুন খেলোয়াড় যারা ওঠে আসছে, তাদের নিয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিবো। প্রয়োজনে বিদেশি পাঠিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। মূলত ৫-১০ বছরের জন্য পরিকল্পনা নিবো আমরা।’

এজেড/এনইউ