ভ্যাকসিনের চিঠি পেয়েছে ফেডারেশনগুলো
ছবি: সংগৃহীত
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জরুরি সেক্টরে কাজ করা ব্যক্তিবর্গরা ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ভ্যাকসিন আসার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন দেয়ার কথা বলেছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সকল ফেডারেশন নিয়ন্ত্রিত হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে (এনএসসি)। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রায় সকল ফেডারেশনকে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী ক্রীড়াবিদ,কোচ,সংগঠকের নাম দ্রুততার ভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক ক্রীড়া শাহ আলম সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়েছি। অনেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। কেউ ইতোমধ্যে নামও দিয়েছে। আমরা এই ধারাবাহিকতা পর্যায়ক্রমে চালিয়ে যাব।’
বিজ্ঞাপন
ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরামের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চিঠি স্বাক্ষর করেছে ২৮ জানুয়ারি। আমরা পেয়েছি ৩১ জানুয়ারি। তিন দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে। আমরা একটি সভা করে এই বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নেব।’
২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক ক্রীড়া শাহ আলমের স্বাক্ষরিত চিঠি অধিকাংশ ফেডারেশন রোববার ৩১ জানুয়ারি পেয়েছে।বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন, ‘এটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ের ভালো উদ্যোগ। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আগ্রহীদের নাম তালিকা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠাব।’
বিজ্ঞাপন
গত বছর অলিম্পিক করোনা ভাইরাসের জন্য হয়নি। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর টোকিও অলিম্পিক হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিন অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া ক্রীড়াবিদদের ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন একটু দ্বিধান্বিত। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা ফুটবলসংশ্লিষ্টদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করব মন্ত্রণালয় ও সরকারের মাধ্যমে। আগ্রহীরা নিতে পারবে কিন্তু বিশেষ করে ফুটবলারদের এটা দেয়া হবে কিনা এটি এখনো ভাবনার মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আলাদাভাবে ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য ভ্যাকসিন কিনবে। অন্যান্য ফেডারেশনগুলো অবশ্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগের উপরই বেশি নির্ভরশীল।
ভ্যাকসিনের সংখ্যা ও প্রয়োগের পর্যায় সম্পর্কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক বলেন, ‘ফেডারেশনগুলো থেকে প্রাপ্ত তালিকা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ক্রীড়াঙ্গনে আগ্রহী সকল ব্যক্তিই ভ্যাকসিন পাবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই উদ্যোগ নেবে।’
এজেড/এনইউ