নোভাক জকোভিচ/ফাইল ছবি

গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের কীর্তিতে এখনো রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। তবে সুইস তারকাকে একটা জায়গায় ঠিকই পেছনে ফেলেছেন ‘জোকার’। ফেদেরারকে ছাড়িয়ে এটিপি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর রেকর্ডটা এখন সার্বিয়ান তারকার দখলে। তবে এমন এক অর্জন সম্পর্কে জানতেনই না জকোভিচ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি।

গত মাসেই ক্যারিয়ারের নবম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপাটা জিতে নিজের গ্র্যান্ডস্ল্যামের সংখ্যাটা ১৮-তে উন্নীত করেছেন জকোভিচ। তাতে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও নিশ্চিত হয় তার। গেল ১ মার্চ তালিকার শীর্ষে ৩১০তম সপ্তাহ কাটান জকোভিচ, ফেদেরারের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। শেষ এক সপ্তাহে কোনো টুর্নামেন্ট না থাকায় চলতি সপ্তাহেও আছেন র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, ফলে ভাঙা হয়ে গেছে ফেদেরারের রেকর্ড।

তার এই কীর্তির পর নোভাক জকোভিচ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সার্বিয়ান তারকাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর বিভিন্ন অ্যাকশন মুহূর্তের কোলাজ পোস্ট করা হয় নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে, অভিনন্দনও জানানো হয় তাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি জকোভিচ।

র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ৩১১তম সপ্তাহে পা দেওয়ার ইতিহাস গড়ে আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জকোভিচ। জানালেন, র‍্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় যে রেকর্ড গড়ে বসেছেন, তা জানতেনই না তিনি! বলেছেন, ‘এটা কেবল আমার জন্য নয়, আমার পরিবার-প্রিয়জনদের কাছেও বিশাল একটা অর্জন। কারণ আমার পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তারা প্রত্যেকে আমায় সমর্থন যুগিয়ে এসেছেন। তবে আমি এই মাইলফলকটা সম্পর্কে খুব একটা জানাশোনা ছিল না আমার।’

উল্লেখ্য, গতবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা জেতার পর ফেব্রুয়ারিতে নাদালের থেকে র‍্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনটা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সার্বিয়ান তারকা। এরপর থেকেই শীর্ষে আছেন তিনি। ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ৩১১ সপ্তাহ শীর্ষে আছেন তিনি। 

২০০৫ জুলাইতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ একশোয় প্রবেশ করেছিলেন জোকার। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সেরা পঞ্চাশে পৌঁছেছেন ঠিক পরের বছরে। সে বছরই অক্টোবরে সেরা ২০-এ চলে আসেন সার্বিয়ান তারকা। সেরা দশে প্রথমবারের মতো ঢুকতে তাকে অপেক্ষা করতেও হয়েছিল ২০০৭ সালের মার্চ পর্যন্ত। আর ফেদেরার-নাদালের দ্বৈত শাসন ভেঙে শীর্ষে উঠেছেন তারও চার বছর পর। ২৪ বছর বয়সে ২০১১ সালের জুলাইতে প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন জকোভিচ।

এনইউ/এটি