প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের পর এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের গোপনে সিগন্যাল ব্যবহার করার বিষয়ে সমালোচনা করছেন অনেকে। সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ড্যাভ ওয়াকার টুইটারে ছবি প্রকাশের মাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি প্রকাশের পর ব্যবহারকারীরা ব্যাপক সমালোচনা করেন। কারণ ফেসবুকের পাশাপাশি তিনি হোয়াটসঅ্যাপেরও কর্ণধার। চলতি বছরের শুরুতে গোপনীয়তার নীতিমালা প্রকাশের পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। 

মার্ক জুকারবার্গের তথ্যও ফাঁস হয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সিগন্যাল ব্যবহারের খবরটি। এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল। টুইটারে খবরটি রসালোভাবে উপস্থাপন করেছে সিগন্যাল। তারা বলছে, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা নীতিমালায় ব্যবহারকারীদের তথ্য জোরপূর্বক নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত তারা ব্যবহারকারীদের সময় বেধে দিয়েছে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অ্যাকসেপ্ট করার জন্য। 

তারা আরও জানায়, মার্ক জুকারবার্গের নিজের সিগন্যাল ব্যবহার প্রমাণ করেছে যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে ফেসবুক। 

সিগন্যাল বর্তমান সময়ে সবচেয়ে সুরক্ষিত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ। চলতি বছরের শুরু থেকে হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সে অবস্থায় মার্ক জুকারবার্গের সিগন্যাল ব্যবহার হোয়াটসঅ্যাপকে আরও বিপদে ফেলবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

এইচএকে/এএ