করোনা মহামারির কারণে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই চলছে কর্মী ছাঁটাই। মহামারিতে আমাদের জীবনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনই পরিবর্তন এসেছে কর্মস্থলেও। চাকরি ছেড়ে অনেকেই ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে আয়ের পথ বেছে নিচ্ছেন। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে গান- যেকোনো বিষয়ে সেখানে ভিডিও প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। এতে আয়ের সম্ভাবনার পাশাপাশি সৃজনশীলতা প্রকাশ করা সম্ভব। 

বর্তমানে বিশ্বে এমন কোনো বিষয় নেই যার ভিডিও ইউটিউবে খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কারণ এসব ভিডিওর ভিউ অনুযায়ী ভিডিও প্ল্যাটফর্মটির যে আয় হয় তার একাংশ দেয়া হয় ভিডিও নির্মাতাদের। সে কারণে অনেকে ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির দিকে ঝুঁকছেন।

সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টে ইউটিউব জানিয়েছে, ইউটিউব পার্টনারের অংশ হতে চাইলে ব্যবহারকারীদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে কীভাবে আয় করতে হয় সে বিষয়ে আজ আপনাকে জানাবো- 

বিজ্ঞাপন থেকে আয়

দর্শক হিসেবে ইউটিউব ভিডিওগুলোতে আমরা যে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই, তার একটি অংশ ভিডিও নির্মাতার কাছে পৌঁছে। ডিসপ্লে অ্যাড, ওভারলে অ্যাড এবং ভিডিও অ্যাডের মাধ্যমে ভিডিও নির্মাতাদের আয়ের ব্যবস্থা করে ইউটিউব। 

মার্চ শেলফ

ইউটিউবের অফিসিয়াল মার্চ শেলফ থেকে অনেকে মার্চেন্ডাইজ কিনে ভিডিও নির্মাতাকে সহায়তা করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীর ওয়াচ পেজে দেখা যাবে। মার্চেন্ডাইজ কেনার জন্য ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে।

চ্যানেল মেম্বারশিপ

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাটনের পাশে জয়েন বাটন সিলেক্ট করলে যে কেউই সেই চ্যানেলের সদস্য হতে পারেন। সদস্য হওয়ার পর ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট টাকা পেতে থাকবেন। তার জন্য ভিডিও নির্মাতার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। একই সঙ্গে চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকা বাধ্যতামূলক।

সুপার চ্যাট, সুপার স্টিকার

সরাসরি কোনো ভিডিও স্ট্রিমিং করা হলে দর্শকদের সুপার চ্যাট ও সুপার স্টিকার ব্যবহারের মাধ্যমে আয়ের পথ তৈরি হয়। তবে সব দেশের ইউটিউবে ফিচারটি ব্যবহৃত হয় না। 

ইউটিউব প্রিমিয়াম

ইউটিউব প্রিমিয়াম সদস্যরা কোনো ভিডিও দেখলে ভিডিও নির্মাতা তার একটি অংশ পেয়ে থাকেন। প্রিমিয়াম থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই ১৮ বছর বয়সী হতে হবে এবং চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রিপশন থাকতে হবে। 

এইচএকে/আরআর/এএ