যদি প্রশ্ন করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোনটি, উত্তরে স্যামসাংয়ের নাম বললে ভুল হবে না। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বে বিক্রি হওয়া পাঁচটি স্মার্টফোনের মধ্যে একটিই স্যামসাংয়ের। গবেষণা সংস্থা ক্যানালিসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

রয়টার্সের খবরে উল্লেখ করা হয়, প্রথম তিন মাসে দুই কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের ৭ কোটি ৬৫ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির দখলে আছে বাজারের ২২ শতাংশ। করোনা মহামারি শুরু হলে তাদের ব্যবসা বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে গ্যালাক্সি এস২১ এর চাহিদা ছিল শীর্ষে। 

ক্যানালিসের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর চীনা স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান শাওমি ভালো সময় পার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং ও অ্যাপলের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে। 

রয়টার্স জানায়, করোনা মহামারি শুরুর পর চীনসহ অন্যান্য দেশে উল্লেখযোগ্য হারে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে। চলতি বছরে অ্যাপলের স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ২৪ লাখ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফাইভ-জি আইফোন-১২ সিরিজের মাধ্যমে চীনের স্মার্টফোন ব্যবসায়ীদের ছাড়িয়ে যায় তারা। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও বিশ্বের ১৫ শতাংশ বাজারের দখল ছিল।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় হঠাৎ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েন। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ফলে অনেককেই ঘরে বসে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। সে কারণে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে। এ বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বেন স্ট্যান্টন বলেন, ‘ডিভাইস বিশেষ করে চিপসেটের চাহিদা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। এতে আগামী মাসগুলোতে স্মার্টফোন উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।’ 

স্ট্যান্টনের কথার সুর মিলিয়ে সম্প্রতি অ্যাপল বলেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাইক্রোচিপ সংকটের কারণে অ্যাপলের আয় তিন থেকে চার মিলিয়ন ডলার কমে যেতে পারে। বিশেষ করে কমে যেতে পারে আইপ্যাড ও ম্যাকবুকের দাম। 

সূত্র: রয়টার্স।

এইচএকে/আরআর/এএ